কলকাতা ব্যুরো: প্রতিবছর এই সময়টায় দেশের নাগরিকরা হামলে পড়ে চিনের নানান সামগ্রী কেনেন। যার মধ্যে একটা বড় অংশই থাকে চিনের তৈরি করা টুনি আর জোরালো আলো সহ বিভিন্ন রকম আলো থেকে শুরু করে জাঙ্ক জুয়েলারি, খাবার, পোশাক ফ্যাশন, ফ্যাশন আইটেম, মিষ্টি, উপহার সামগ্রী। কিন্তু এবার দিওয়ালিতে আগের তুলনায় দেশে ব্যবসা ভালো হলেও, বড় ক্ষতির দিকে পৌঁছে গিয়েছে চিনের ব্যবসা। কারণ গত জুন মাস থেকে চিনের সঙ্গে সীমান্তে সংঘর্ষের পর থেকে এখনো পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে চিনের পণ্য আমদানি। আর চিনা সামগ্রী বয় কটের জেরেই চলছে বেজিংকে এই ভাবে সবক সেখান।এবছর দেশের বড় শহরগুলিতে মোট প্রায় ৭২ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছে দেওয়ালি উপলক্ষে। এই তথ্য জানিয়ে সর্বভারতীয় খেলনা এবং অন্যান্য সামগ্রিক ব্যবসায়ীদের সংগঠন জানিয়েছে, যার মধ্যে অন্তত ৪০ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা হতে পারত চিনের সঙ্গে। কেননা এতদিন এদেশে যে এই ধরনের দ্রব্যের আমদানি হয় তার ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ আসে চিন থেকে। কিন্তু এবার প্রথমে গলওয়ান সীমান্তে চিনা সেনার হাতে কুড়ি জন ভারতীয় সেনার মৃত্যুর পর চিনা সামগ্রী বয়কটের আওয়াজ ওঠে। তারপর থেকে অরুণাচল থেকে লাদাখ সীমান্ত পর্যন্ত চিনের সঙ্গে সমস্যা বাড়তে থাকায় সেই বয়কট এখনো জারি রয়েছে।এরইমধ্যে ভারতীয়দের মধ্যে একটি সমীক্ষা চালায় বেসরকারি একটি সংস্থা। তাতে মাত্র ২৯ শতাংশ মানুষ চান দিওয়ালির মত উৎসবের আগে চিনের দ্রব্য কিনতে। অথচ গত বছর একই সময়ে ওই সংস্থার একই প্রশ্নের জবাবে ৪৮ শতাংশ ভারতীয় চিনের সামগ্রী কেনার ব্যাপারে উৎসাহ দেখিয়ে ছিলেন। এবারে ৮৭ শতাংশ ভারতীয় নাগরিক চিনা পণ্য বয়কট এর পক্ষে সওয়াল করেছেন। ওই সংস্থাটি 10 থেকে 15 নভেম্বরের মধ্যে দেশের 200 পাঁচটি রাজ্যে এই সমীক্ষা চালায়।মুম্বাই, দিল্লি, ব্যাঙ্গালোর, চেন্নাই, কলকাতা, আহমেদাবাদ পুনের মত বেশ কয়েকটি বড় শহরে দেওয়ালির আগে চিনা দ্রব্যসামগ্রীর ভালো ব্যবসা হতো। এবার সেই ব্যবসায চালু থাকলেও, চিনা সামগ্রী বাতিল হয়ে গিয়েছে।বর্তমান চীনের সঙ্গে সীমান্ত সমস্যায় বাণিজ্যে যে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে এই সামগ্রিক অর্থে তা নিশ্চিত।