মৈনাক শর্মা

ভূখণ্ড দখলের প্রতিযোগিতায় বিশ্ব যুদ্ধের সাক্ষী হয় গোটা বিশ্ব। এবার পৃথিবীর বাইরে মহাকাশ দখলের প্রতিযোগিতা শুরু। ১৯৫৭ সালেই সোভিয়েত ইউনিয়নের কৃত্রিম উপগ্রহ স্পুটনিকের সাথেই শুরু হয় মহাকাশ দখলের স্বপ্ন, সেই স্বপ্নের উদ্দেশেই এইবার মহাকাশে সামরিক মহড়ায় ফ্রান্স।

মহাকাশে নিজেদের শক্তির পরিচয় ও সেখানে নিজের স্যাটেলাইট সুরক্ষিত করতেই এই যুদ্ধ মহড়া ফ্রান্সের, জানাচ্ছেন ফ্রান্স স্পেস কমান্ডার মাইকেল ফ্রেডিং। ১৯৬৫ সালে প্রথম ফ্রেঞ্চ স্যাটেলাইট অস্টেরিক্স এর নাম অনুযায়ী এই মহড়ায় নাম করা হয় অস্ট্রা এক্স। ফ্রান্সের সামরিক মহড়া ইউরোপের দেশ গুলির মধ্য প্রথম। সোম থেকে শুক্রবার অবধি চলা এই মহড়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র র স্পেস ফোর্স ও জার্মানির স্পেস এজেন্সির অংশগ্রহনের কথা জানায় ফ্রেডিং।

শুধু তাই নয়, একটি অন্টি স্যাটেলাইট লেজার অস্ত্র বানাবার লক্ষে রয়েছে ফ্রান্স। ফ্রান্স বিদেশ মন্ত্রী ফ্লোরেন্স পারলির দেওয়া সাক্ষাৎকার অনুযায়ী, মহাকাশ অভিযানের জন্য ৪.৩ বিলিয়ন ইউরো খরচ করতে প্রস্তুত দেশ।

১৯৫৭ সালের পর থেকেই মহাকাশ অভিযানে একের পর এক কৃত্তিম উপগ্রহ পাঠাতে থাকে রাশিয়া, চিন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রর মতো দেশগুলি। পরবর্তী কালে এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে ভারত, পাকিস্তানের মতন তৃতীয় বিশ্বের দেশ গুলিও। এই স্যাটেলাইট গুলি একবার পৃথিবীর বাইরে চলে গেলে তা মহাকাশেই নিজের কক্ষে ঘোরে অর্থাৎ কৃত্রিম উপগ্রহ গুলির পৃথিবীতে ফেরবার পথ নেই। ফলে মহাকাশেও ছড়িয়ে পড়ে দূষণ।
ফ্রান্সের সামরিক মহড়ায় মহাকাশে দূষণের মাত্রার পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে পরে। তাছাড়া ভবিষ্যতেও এমনই যুদ্ধ মহড়া অনুষ্ঠিত হওয়ার সংখা বাড়তে পারে, এই আশংকায় চিন্তায় বিজ্ঞানীরা

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version