এক নজরে

স্কুলের কমিটি নয়, সুরঞ্জন দাস কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতেই ফি কমাক হাইকোর্ট, চাইছেন অভিবাবকরা

By admin

September 14, 2020

কলকাতা ব্যুরো: ফি কমানোর মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়ে দিল অভিভাবকদের নিয়ে কমিটি গড়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আবার এক্ষেত্রে হাইকোর্টের বক্তব্য, সুরঞ্জন দাস ও গোপা দত্ত কমিটির রিপোর্ট পাঠিয়ে দেওয়া হবে স্কুলগুলিকে। সেই রিপোর্ট নিয়ে কমিটি যা বিশ্লেষণ ও মন্তব্য করেছে, তা অভিভাবক এবং শিক্ষকদের নিয়ে গঠিত কমিটির সামনে রাখতে হবে। আয়-ব্যয়ের হিসাব এবং কোন খাতে কত টাকা নেওয়া হয়েছে -সামগ্রিকভাবে দেখে ওই কমিটি বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।যদিও হাইকোর্টের এদিনের সিদ্ধান্ত নিয়ে সংশয় রয়েছে অভিভাবকদের একাংশের মধ্যে। কিছু অভিভাবকের বক্তব্য, হাইকোর্ট নিযুক্ত কমিটি স্কুল গুলির আয়-ব্যয়ের হিসাব দেখে এবং কোন কোন খাতে এই লকডাউনের মধ্যে টাকা নেওয়া অনুচিত বলে জানিয়ে রিপোর্ট দিয়েছে। তার ভিত্তিতেই ফি ছাড়ের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারত হাইকোর্ট। কেননা অভিভাবকদের নিয়ে স্কুলকে যে কমিটি করতে বলা হয়েছে সে ক্ষেত্রে তাদের নির্বাচন কিভাবে হবে সে নিয়ে সোমবার তার রায়ে হাইকোর্ট একটি ইঙ্গিত দিয়েছে। লটারির মাধ্যমে তিন সদস্যের অভিভাবকদের ওই কমিটিতে নেওয়ার ইঙ্গিত করা হয়েছে হাইকোর্টের রায়ে।অভিভাবকদের একাংশের প্রশ্ন, কিভাবে এই লটারি হবে, কারা এই লটারি করবেন তা স্পষ্ট নয়। দ্বিতীয়ত, ধরে নিতে হবে অভিভাবকরা কেউ অংক শাস্ত্রের বা আয়-ব্যয়ের যে জটিল তত্ব (অনেকটাই প্রকাশ হয়ে গিয়েছে সুরঞ্জন দাস কমিটির রিপোর্টে) তা দেখে তাদের ছাড় দেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা কতটা থাকবে ?এদিন হাইকোর্টের রায়ে আরো বলেছে, যদি কোনো অভিভাবক ছাড়ের সুযোগ না নিতে চান, সে ক্ষেত্রে তিনি বেতন বাবদ পুরো টাকাই দিতে পারেন স্কুলকে। সেক্ষেত্রে তার অংশটা যিনি আরো আর্থিক ভাবে কষ্ট রয়েছেন তাকে দিতে পারবে স্কুল।

অভিভাবকের বক্তব্য, এখানে কেউ স্কুলের দয়া-দাক্ষিণ্য চাইছেন না। স্কুল বাস না চালিয়ে তার পয়সা চাইছে। লাইব্রেরি বা কম্পিউটার রুম ব্যবহার না করে তার পয়সা নিচ্ছে। এমন ত্রিশটি ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে বহু স্কুল সার্ভিস না দিয়েই পয়সা নিয়েছে। ফলে এখানে যার ক্ষমতা রয়েছে তিনি কেন সেই টাকা দেবেন, সেই প্রশ্নই বড় হয়ে উঠছে অভিভাবকদের কাছে। তাদের বক্তব্য, দয়া নয়, ন্যায্য অধিকার হিসেবেই অভিভাবকদের যা দেওয়ার কথা নয়, তা তারা দিতে চান না। ঠিক সেই কারণেই মামলা দায়ের করা হয়েছিল হাইকোর্টে।

যেভাবে বেসরকারি স্কুলগুলি বেতনের নামে এই লকডাউন এর মধ্যেও নিজেদের ইচ্ছেমতো টাকা নিয়েছে অভিভাবকদের থেকে, তা অনেকটাই প্রকাশ হয়ে গিয়েছে ওই কমিটির রিপোর্টে। এদিন হাইকোর্টের রায় জানিয়েছে, কিছু স্কুল দাবি করেছে, তারা ইতিমধ্যেই অভিভাবকদের ছাড় দিয়ে দিয়েছে। কিন্তু হাইকোর্টের বক্তব্য, তা সত্ত্বেও অভিভাবকদের নিয়ে কমিটি গঠন করে সেখান থেকেই এ ব্যাপারে সন্তুষ্টজনক ছাড়পত্র নিয়ে আসতে হবে স্কুলকে।আগামী বুধবার গোটা বিষয়টি নিয়ে তার পূর্ণাঙ্গ রায় দেবে হাইকোর্ট। ফলে সেদিন হাইকোর্ট ফি কমানো নিয়ে কি অবস্থান নেয় সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছেন অভিভাবকরা।।