কলকাতা ব্যুরো: মহারাষ্ট্রে ক্ষমতা হারাতেই কেন্দ্রীয় এজেন্সির চাপে উদ্ধব পন্থী শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত। জমি দুর্নীতি মামলায় এর আগেও রাউতকে সমন পাঠিয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। কিন্তু এতদিন তিনি বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে তলব এড়িয়ে যাচ্ছিলেন। তবে একনাথ শিণ্ডের শপথের পরদিন অর্থাৎ শুক্রবার তিনি ইডি দপ্তরে হাজিরা দিয়েছেন। সঞ্জয় হাজিরা দেওয়ার আগেই আবার মহা বিকাশ আগাড়ির আরেক নেতা তথা প্রবীণ রাজনীতিবিদ শরদ পওয়ারও এদিন কেন্দ্রীয় এজেন্সির নোটিস পেয়েছেন।
এদিন সকালেই টুইট করে সঞ্জয় রাউত জানান, তিনি ইডি দপ্তরে হাজিরা দেবেন। শিব সেনা সমর্থকরা যাতে ইডি দপ্তরে জড়ো না হন, সেই অনুরোধও জানান তিনি। দুপুর ১২টা নাগাদ ইডি দপ্তরে গিয়ে রাউত সাফ বলে দেন, আমি কাউকে ভয় পাই না। জীবনে কোনও অন্যায় করিনি। যদি আমার তলবের পিছনে রাজনীতি থাকে, তাহলেও সেটা পরে বোঝা যাবে। এখন আমার মনে হচ্ছে, আমি নিরপেক্ষ একটি এজেন্সিতে যাচ্ছি। আমি ইডিকে বিশ্বাস করি।
সঞ্জয় রাউতের তলবের আগেই আয়কর দপ্তরের নোটিস পেয়েছেন মহা বিকাশ আগাড়ির আরেক নেতা তথা এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পওয়ার। ২০০৪, ২০০৯, ২০১৪ এবং ২০২০ নির্বাচনের সময় পওয়ার যে হলফনামা দিয়েছেন, সেই হলফনামায় গরমিলের অভিযোগে তাঁকে নোটিস পাঠিয়েছে আয়কর দপ্তর। পওয়ার নিজেই সেই নোটিস প্রাপ্তির কথা টুইটারে জানিয়েছেন।
সেই সঙ্গে তাঁর কটাক্ষ, আমি একটা প্রেমপত্র পেয়েছি। শরদ পওয়ারের শ্লেষ,আয়কর দপ্তর আজকাল খুব সক্রিয়। খুব তাড়াতাড়ি তথ্য সংগ্রহ করছে। ওদের কাজের কৌশলও পালটে যাচ্ছে।
বস্তুত, বিজেপির বিরুদ্ধে দীর্ঘদিনের অভিযোগ কেন্দ্রীয় এজেন্সি ব্যবহার করে বিরোধীদের ভয় দেখাচ্ছে তারা। এ নিয়ে এর আগেও বহু বিরোধী দল সরব হয়েছে। এমনকী, মহারাষ্ট্রের সরকারের পতনের পিছনেও ইডি-সিবিআইয়েরই হাত দেখেন বিরোধী নেতারা।