এক নজরে

Saayoni Ghosh arrest: আগরতলায় গ্রেফতার সায়নী ঘোষ

By admin

November 21, 2021

কলকাতা ব্যুরো: ত্রিপুরায় গ্রেফতার তৃণমূল নেত্রী সায়নী ঘোষ। তৃণমূল যুব সভানেত্রী সায়নী ঘোষকে রবিবার সকালে থানায় ডেকে পাঠিয়েছিল ত্রিপুরা পুলিশ। দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদের পর আজ বিকেলে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে গাড়ি দিয়ে ধাক্কা মারার চেষ্টার অভিযোগ রয়েছে। ত্রিপুরা পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার মামলা রুজু করেছে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৭ অর্থাৎ অর্থাৎ জামিন অযোগ্য ধারায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। আপাতত তাঁকে আগরতলা পূর্ব মহিলা থানায় রাখা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের দাবি, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই এই গ্রেপ্তারি। তাঁকে আদালতে তোলা হচ্ছে না বলেও অভিযোগ কুণালের। জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু হওয়ায় রবিবার রাতে থানার লকআপেই কাটাতে হবে যুব সভানেত্রীকে।

ঘটনার সূত্রপাত শনিবার রাতে। ভোটের প্রচার সেরে ফেরার পথে সায়নীর গাড়ি একজনকে চাপা দেয় বলে অভিযোগ। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়। এরপর রাতেই সায়নীকে গ্রেফতার করার জন্য পুলিশ যায় পোলো হোটেলে। এই হোটেলেই ছিলেন সায়নী-সহ তৃণমূল নেতৃত্ব। কিন্তু রাতে পুলিশের কাছে আইনি নোটিস দাবি করেন তৃণমূল নেতারা। সায়নীকে থানায় নিয়ে যেতে বাধা দেন কুণাল ঘোষ। 

রবিবার সকালে হোটেল থেকে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন তৃণমূলের যুব সভানেত্রী সায়নী ঘোষ। সেখানে মহিলা পুলিশ কর্মীকে উদ্দেশ্য করে কুণাল ঘোষকে বলতে শোনা যায়, ‘কোনও সেকশনে আপনি কোনও নোটিশ দেননি। আপনি কী ভাবে যেতে বলতে পারেন?’ সায়নী ঘোষকে জোর করে থানায় নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ তোলা হয় পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে।

এ প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষ বলেন, ‘আমরা আইন মেনে চলা নাগরিক। যদিও আইনত নোটিশ ছাড়া যাওয়ার কোনও প্রশ্ন নেই।’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘সায়নীর বিরুদ্ধে কী অভিযোগ? সেটা সায়নীও জানেন না। পুলিশও বলতে পারছে না। তা সত্ত্বেও সৌজন্য দেখিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের যুব সভানেত্রী আগরতলা ইস্ট থানায় যাবেন। শুধুমাত্র এটা দেখাতে যে আমরা আইন মেনে চলি।’

এরপরই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় ত্রিপুরা ইস্ট মহিলা থানায়। সেখানে তাঁকে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করার পর অবশেষে গ্রেফতার করা হয় সায়নীকে। থানার বাইরে কার্যত তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বেধে যায় বিজেপি সমর্থকদের। পুলিশ থামাতে গেলে, তাদের সঙ্গেও বচসা বাধে। তৃণমূল কর্মীদের উপর ইটবষ্টির অভিযোগ ওঠে পদ্ম সমর্থকদের বিরুদ্ধে।

কুণাল ঘোষ বলেন, ‘পুলিশের সঙ্গে আমাদের কোনও বিরোধ নেই। এখানে পুলিশ কর্মীরা রাজনীতির শিকার হচ্ছেন। তাদের উপর রাজনৈতিক নেতাদের চাপ রয়েছে। তাদের যা বলা হচ্ছে, তাই করছে। ওদের SDPO নিজে বিজেপি কর্মীদের হাতে আক্রান্ত হয়েছেন।’