কলকাতা ব্যুরো: এদিক সেদিক দেখা যাচ্ছে পায়ের ছাপ। মাঝে মধ্যেই গ্রাম থেকে উধাও হয়ে যাচ্ছে গবাদি পশু। জঙ্গলে মিলছে আধখাওয়া পশুর দেহ। ফলে লালগড়ে ক্রমশ জোরাল হচ্ছে বাঘের আতঙ্ক। ভয়ে কাঁটা গ্রামবাসীরা। তাঁদের দাবি, এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে দু’টি রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার। যদিও বনদপ্তরের দাবি, রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার নয়। এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে নেকড়ে বাঘ।
গত পাঁচদিন ধরে লালগড় থানার কুমিরপাতা, লক্ষণপুর, কন্যাবালি-সহ বিভিন্ন গ্রাম লাগোয়া জঙ্গলগুলিতেই মূলত পায়ের ছাপ দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। শুক্রবার লালগড়ের কন্যাবালি গ্রামে ছাগলের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। দু’টি বড় জন্তুও দেখা যায় বলেই দাবি গ্রামবাসীদের। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই রবিবার কুমিরপাতা জঙ্গলে গবাদি পশুর হাড়গোড় পড়ে থাকতে দেখা যায়।
আতঙ্কে কাঁপছে গোটা গ্রাম। খুব প্রয়োজন ছাড়া জঙ্গলে যাওয়াও ছেড়ে দিয়েছেন তাঁরা। গ্রামবাসীদের দাবি, অবিলম্বে কোনও ব্যবস্থা নিক বনদপ্তর। জঙ্গলে খাঁচা পাতার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। যদিও বনদপ্তরের দাবি, গ্রামে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার ঘোরাফেরা করছে না। নেকড়ে বাঘই এই কাণ্ড ঘটাচ্ছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও দাবি বনদপ্তরের।
উল্লেখ্য, এর আগে কুলতলি এবং গোসাবাতেও রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারকে খাঁচাবন্দি করে বনদপ্তর। এমনকী লালগড়েও আগে বাঘের খোঁজ মেলে। ঠিক এভাবেই ২০১৮ সালের প্রথম দিকে পায়ের ছাপ পাওয়া গিয়েছিল। পরে গ্রামের গবাদি পশুর উপর আক্রমণ এবং তাদের খুবলানো দেহ উদ্ধার হয়েছিল। বনদপ্তরের তরফে ট্র্যাপ ক্যামেরা বসানো হয় জঙ্গলে। আশঙ্কাই যেন সত্যি হয়। ধরা পড়ে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের ছবি। সেই আতঙ্ক যেন আবার ফিরে এসেছে লালগড়ে।