কলকাতা ব্যুরো: এ রাজ্যে ছট পুজো য় অন্যতম উৎসবের আবহ তৈরি হয় আসানসোল- দুর্গাপুরে। বেশিরভাগ অবাঙালি এলাকায় সেখানে ছট পুজোর আয়োজন হয় জাকজমোক করে। কিন্তু এবার একদিকে করোনা বিধি আর অন্যদিকে হাইকোর্টের নির্দেশ- এই দুইয়ের মাঝে পড়ে এবার অন্যরকম ভাবে ছট পুজোর আয়োজন হল এই দুই শিল্প শহরে।
আসানসোল -দুর্গাপুর – অন্ডাল শহরের বহু বাড়িতেই এবার ছাদের মধ্যে তৈরি হলো কৃত্রিম জলাশয়। বাড়ির পুরুষরা গত কয়েকদিন ধরে জোগাড় যন্ত্র করে তৈরি করলেন জলাশয়। কেউ কেউ আবার প্রায় সুইমিং পুলের ধাঁচেই তৈরি করলেন ছাদের উপরে ছোটখাটো পুকুর। আর এদিন বিকেল থেকে সেখানেই ছট পুজোর আয়োজন করলেন বাড়ির মহিলারা।তাদের বক্তব্য, যেহেতু সরকারি বিধিনিষেধ রয়েছে তাই পুকুর বা নদীতে না গিয়ে বাড়িতেই একত্রিতভাবে পুজোর আয়োজন করা হলো। একান্নবর্তী পরিবার হওয়ায় পুরুষরা মিলে তৈরি করে ফেললেন বাড়ির ছাদে ছোটখাটো একটা পুকুর। আর সেখানেই মহিলারা মিলে দলবেঁধে সারলেন পুজো। এতে আনন্দ একেবারেই অন্যরকম ভাবে হল অন্যান্যবার বাইরে গেলে অনেক সময়ই বিশৃংখলার মধ্যে পড়তে হয়। এবার তেমনটা না হওয়ায় কেউ কেউ আগামী দিনেও এভাবেই পুজো করার ভাবনা এখন থেকেই তুলে রাখলেন।
রাজ্যের এই দুই শিল্প তালুকের সঙ্গেই, শিলিগুড়িতে যথেষ্ট সংখ্যক অবাঙালি ছট পূজার সঙ্গে যুক্ত থাকেন। একদিকে দামোদর অন্যদিকে তিস্তা আর মহানন্দা সহ একাধিক নদী রয়েছে। এবার বাড়িতে বাড়িতে বা পাড়ার মধ্যে ছোট জলাশয় অথবা পুরসভার কৃত্রিম জলাশয়ের ছট পুজো করার উদ্যোগ নেওয়ায় নদী গুলিতে তেমন ভিড় চোখে পড়েনি। কিছু নদীতে মানুষ গেলেও সেখানে ভিড় ছিল না তেমন। আবার যারা নদীতে গিয়েছেন, তারাও আইন মানার কথা মাথায় রেখেই, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পুজো শেষ করে ফিরেছেন ঘরে।ফলে করোনার আবহে অনেক পরিবর্তনের সঙ্গে এবার ছট পুজো এক অন্যরকম ভাবে পালনের আনন্দে মাতলো বাংলা। ছটের সঙ্গে যুক্ত পরিবারগুলি নিজেরাই খুঁজে নিলেন একসঙ্গে ঘরে বা পাড়ায় পুজোর রাস্তা। কলকাতা শহরে যেমন পাওয়া যায়নি ডিজে বা ব্যান্ড পার্টির মিছিল, আসানসোল- শিলিগুড়িতেও দেখা যায়নি তেমন ছবি। আর বাজি! তেমন দাপট সন্ধ্যে পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।