কলকাতা ব্যুরো: বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের সাধারণতন্ত্র দিবস উদযাপন। দিল্লির আকাশে পরাক্রম প্রদর্শন রাফাল-মিগ-চিনুক-জাগুয়ারের। আর শত্রুর বুকে কাঁপুনি ধরিয়ে দিল্লি রাজপথে ক্ষমতা প্রদর্শন সেঞ্চুরিয়ান-অর্জুন-ভীষ্ম-হাউৎজারের। আবার দেশে বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যের মাধুর্য তুলে ধরলেন শিল্পীরা। সবমিলিয়ে সাধারণতন্ত্র দিবসে গোটা বিশ্ব সাক্ষী থাকলো এক অনন্য ভারতের। যে শত্রুর চোখে চোখ রেখে জবাব দিতে জানে। আবার বহুল বৈচিত্র্যকে আপন করে নিয়ে নয়া ঐতিহ্য গড়ে।

বুধবার ৭৩তম সাধারণতনন্ত্র দিবস। আবার এবছরই স্বাধীনতার ৭৫ বছরও বটে। সঙ্গে যুক্ত হয়েছে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫তম জন্মবার্ষিকী। এদিন দিল্লির রাজপথে ফুটে উঠল সেই দেশপ্রেম। সকাল সাড়ে দশটায় জাতীয় সংগীত আর একুশ তোপের সেলাম জানিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। 

রাজপথে ক্ষমতা প্রদর্শন করেন সেঞ্চুরিয়ান ট্যাঙ্ক, পিটি-৭৬, এমবিটি অর্জুন এমকে-ওয়ান এবং এপিসি টোপাজ। প্রদর্শিত হয় হাউৎজার এমকে-ওয়ান। এছাড়া প্রদর্শিত হয় ১২ রাজ্যের ট্যাবলো। নজিরবিহীনভাবে এবার কুচকাওয়াজের অংশ ছিল অসামরিক বিমান পরিবহণের ট্যাবলো। তাঁদের থিম ছিল, ‘উড়াল’ প্রকল্প। যার মাধ্যমে স্বল্প খরচে দেশের বিভিন্ন ছোট ছোট শহরকে বিমানপথে যুক্ত করা হচ্ছে। 

পাশাপাশি দিল্লির রাজপথে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে সম্মান প্রদর্শন কেন্দ্রের। নগরোন্নয়ন মন্ত্রকের তরফে তৈরি করা হয়েছিল বিশেষ ট্যাবলো। সেখানে নেতাজির আবক্ষ মূর্তির পাশাপাশি বিভিন্ন সময়ে তাঁর অবদান তুলে ধরা হয়েছিল। সঙ্গে শোনা গেল নেতাজির কণ্ঠস্বরও। 

তবে শো স্টপার ছিল অনুষ্ঠানের একেবারে শেষে। বৃহত্তম ‘ফ্লাইপাস্ট’ প্রদর্শিত হয় দিল্লির আকাশে। মেঘের চাদর সরিয়ে আকাশে কারিকুরি দেখায় চিনুক-জাগুয়ার-রাফালে। তাঁরা কখনও গঠন করেছে রুদ্রের আকার, কখনও বা তেরঙ্গার আকৃতি আবার কখনও একলব্য। নজর কেড়েছে রাফালে, জাগুয়ার, মিগ-১৯ এবং এসইউ-২০ এর ‘বাজ’ ফরমেশনও। 

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version