এক নজরে

রেহার জামিন বাতিল করতে সুপ্রিম কোর্টে এনসিবি-কে নিয়ে ধন্ধে আইনজীবীরা

By admin

October 08, 2020

কলকাতা ব্যুরো: মুম্বাই হাইকোর্ট তাকে জামিন দিলেও রেহা চক্রবর্তীকে ফের জেলে পুরতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছে এনসিবি। বুধবার মুম্বাই হাইকোর্ট সুশান্ত সিং রাজপুত মৃত্যু রহস্য মাদক মামলায় রিহা চক্রবর্তীকে এক মাসের মাথায় জামিন মঞ্জুর করেছে।

যদিও এনসিবির আইনজীবীর দাবি, এই মামলায় আইনগত অনেক দিক রয়েছে। তাই সেগুলি দেখিয়ে সওয়া ল করার জন্য ফের এই রায় চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যাবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

এদিন হাইকোর্ট রেহা চক্রবর্তীকে জামিন দিতে গিয়ে যে যুক্তিগুলি তুলেছে, সে ব্যাপারে সহমত আইনজীবিদের একটা বড় অংশ। প্রথমত রেহা চক্রবর্তীর কাছ থেকে এক কণা ও মাদক এনসিবি উদ্ধার করতে পারেনি। অথচ তদন্তকারীদের যুক্তি, ধৃত মাদকচক্রের একজন অন্যতম হোতা। বিভিন্ন সাক্ষীদের বয়ান থেকেই তার নাম উঠে এসেছে বলে দাবি করে এনসিবি।

যদিও মুম্বাই হাইকোর্ট রায় স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, যে সমস্ত সাক্ষীরা তদন্তকারীদের কাছে তার নামে বয়ান দিয়েছিলেন, গোপন জবানবন্দিতে তাদের অনেকেই উল্টো কথা বলেছেন। ফলে যাদের বক্তব্যের উপর ভিত্তি করে এনসিবি তাকে এই মামলার গুরুত্বপূর্ণ চক্রি হিসেবে চিহ্নিত করেছিল, তার তথ্যপ্রমাণ তেমন জোরালো নয় বলেই মনে করেছে হাইকোর্ট।

পাশাপাশি হাইকোর্টের রায় স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, যখনই তাকে তদন্তকারীরা জেরার জন্য ডেকেছেন, তখনই তাদের কাছে হাজির হয়েছেন। অর্থাৎ তদন্তে ব্যাঘাত ঘটানো বা অসহযোগিতার অভিযোগ তার ক্ষেত্রে ধোপে টিকছে না।

পাশাপাশি তদন্তকারীরা তথ্য-প্রমাণ দিয়ে এটাও প্রমাণ করতে পারেননি যে রেহা চক্রবর্তী মাদক চক্রে জড়িত থাকতে গিয়ে টাকাপয়সা দিয়েছেন বা আর্থিক ভাবে যুক্ত হয়েছেন অথবা টাকা লেনদেন করেছেন। ফলে তা হলে তাকে কিভাবে মূল চক্রী হিসেবে প্রমাণ করা যাবে, সে ব্যাপারে এনসিবি পর্যাপ্ত তথ্য প্রমাণ জোগাড় করেনি বলেই মনে করছেন আইনজীবীরা।

আইনজীবীদের মতে মিডিয়া ট্রায়ালের মধ্যে এনসিবিও যথেষ্ট চাপে পড়েই কাজ করতে গিয়ে আরও প্রয়োজনীয় তথ্য প্রমাণ হাতে না নিয়ে রেহা চক্রবর্তীকে গ্রেপ্তার করেছে। আর এনসিবির বক্তব্য অনুযায়ী, মূল চক্রি যদি মাদক মামলায় মাত্র এক মাসের মাথায় জামিন পেয়ে যান, সে ক্ষেত্রে অন্যান্য ধৃতরা এই সুযোগ তাদের মামলায় কাজে লাগাবেন সেটা নিশ্চিত। এখন সুপ্রিম কোর্টে গেলেও সুবিধা কতটা হবে টা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। হাইকোর্ট এদিন ৭০ পাতার যে রায় লিখেছে, তাতে কতটা এনসিবি দেশের শীর্ষ আদালতের বিচারপতিদের শুনানিতে সন্তুষ্ট করতে পারবে, সে ব্যাপারে ধন্দে আইনজীবীরা।