কলকাতা ব্যুরো: সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু মামলায় রেহা চক্রবর্তীর বক্তব্য ঘিরে নতুন করে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তিনি মুম্বাইয়ের ফিল্ম জগতের অনেক প্রভাবশালীর সঙ্গে মাদকচক্রের যোগের কথা বলেছেন বলে খবর।এই অবস্থায় লোকসভায় কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী জি কৃষ্ণা রেড্ডি বলেছেন, রেহা চক্রবর্তী নারকটিকস কন্ট্রোল ব্যুরোকে মাদকচক্রর সঙ্গে মুম্বাইয়ের বেশকিছু লোকের জড়িত থাকার কথা জানিয়েছেন। কিন্তু এখনো পর্যন্ত এন সি বির কাছে এমন কোনো তথ্য-প্রমাণ আসেনি, যার জেরে বলিউডের সেলেবদের সঙ্গে ড্রাগ পাচারকারীদের যোগের কথা জোর দিয়ে বলা যাবে।সংসদে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, ২৫ আগস্ট এনসিবি প্রথম ওই মামলা হাতে নিয়ে ২৬ আগস্ট রেহা চক্রবর্তীসহ বেশ কয়েকজনের নামে মাদকচক্রের জড়িত থাকার মামলা দায়ের করে। পরবর্তীতে ২৮ আগস্ট এনসিবি দ্বিতীয় মামলা দায়ের করে। সেখানেও রেহা চক্রবর্তীসহ বেশকিছু নাম জড়িত ছিল। এখনো পর্যন্ত এনসিবি মুম্বাই থেকে গোয়া পর্যন্ত তদন্ত চালিয়ে গাজা, হাসিস, টেট্রাহেড্রাল ক্যানাল সহ বেশকিছু নিষিদ্ধ মাদক বাজেয়াপ্ত করেছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।আবার মুম্বাইয়ের বিশেষ আদালত গত সপ্তাহে রেহা চক্রবর্তীর জামিনের আবেদন খারিজ করতে গিয়ে জানিয়েছে, বেশকিছু প্রভাবশালীর মাদক মামলায় যুক্ত থাকার তথ্য ধৃত দিয়েছেন তদন্তকারীদের। এখন যদি তিনি জামিন পেয়ে যান সে ক্ষেত্রে তদন্তের সমস্যা হতে পারে। জামিন খারিজ করতে গিয়ে আদালত আরো লিখেছে, অভিযুক্ত জামিন পেয়ে গেলে তিনি বাইরে বেরিয়ে যেসব প্রভাবশালীদের নাম বলেছেন, তাদের সতর্ক করে দিতে পারেন। সে ক্ষেত্রে তথ্য প্রমাণ লোপাট হওয়ার আশংকা রয়েছে। তাই তার জামিনের আবেদন খারিজ করে জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেয় বিশেষ আদালত।এরইমধ্যে মুম্বাইয়ে এনসিবির যুগ্ম অধিকর্তা দাবি করেন, কোন ও বলিউড সুপারস্টার এর নাম মাদক মামলায় যুক্ত হিসেবে তাদের কাছে রেহা বলেননি। এমনকি নির্দিষ্ট কিছু অভিনেতা-অভিনেত্রীর নাম বলেছেন বলে প্রচার হয়েছে তা অস্বীকার করেন এনসিবির ওই কর্তা। রেহান জেরায় পঁচিশ জন বলিউডের প্রভাবশালী নাম বলেছেন বলেও খবর ছড়িয়ে পড়েছিল। সে দাবিও নস্যাৎ করে দেন এনসিবির ওই শীর্ষ অফিসার।এই অবস্থায় লোকসভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আর বিশেষ আদালতে জামিনের আবেদন খারিজ করে যে কারণ বলা হয়েছে তা যথেষ্ট ইঙ্গিতপূর্ণ বলেই মনে করছেন অভিজ্ঞমহল।