কলকাতা ব্যুরো: একটানা চারদিন ধরে বৃষ্টি লেগেই রয়েছে। পিছল রাস্তায় এবার নামল ধসও। ভারী বৃষ্টি ও ধসের জেরে বন্ধ হয়ে গেলো ঋষিকেশ-দেবপ্রয়াগ, ঋষিকেশ-তেহরি ও দেহরাদুন-মুসৌরির রাস্তা। অন্যদিকে, জলের তোড়ে ভেঙে পড়েছে রাণী পোখরি ব্রিজও। আর সেই সময় ব্রিজের উপর দিয়ে যে গাড়িগুলি যাতায়াত করছিল, সেগুলিও ভেসে যায় বলে খবর।

উত্তরাখণ্ড পুলিশের তরফে শুক্রবার সকালে জানানো হয়, আবহাওয়া ঠিক না হওয়া অবধি পর্যটকরা যেন এই রাস্তাগুলিতে না যান। তপোবন থেকে মালেথাগামী ৫৮ নম্বর জাতীয় সড়কেও প্রবল বৃষ্টির জেরে ধস নেমেছে। সেই রাস্তাও আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। ঋষিকেশ, দেহরাদুন, মুসৌরির মতো পর্যটন কেন্দ্রগুলি সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে ভারী বৃষ্টির কারণে।

পুলিশের তরফে একটি টুইট করে বলা হয়েছে, দেহরাদুন-ঋষিকেশগামী রাস্তায় রাণী পোখরিতে জখন নদীর উপর যে সেতুটি রয়েছে, তা ভারী বৃষ্টি ও জোয়ারের ধাক্কায় ভেঙে পড়েছে। যাত্রীদের অনুরোধ করা হচ্ছে, তারা যেন এই রাস্তা ব্যবহার না করেন এবং অন্য কোনও পথ অনুসরণ করে নিজের গন্তব্যে যান।

ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, ব্রিজের মাঝখানের অংশটি সম্পূর্ণ রূপে বসে গিয়েছে। নদীর জলের স্রোত বাড়তেই গাড়ি ছেড়ে ব্রিজ থেকে পালিয়ে আসতে দেখা যাচ্ছে। এদিকে, মালদেবতা-সহস্রধারার মধ্যে সংযোগকারী রাস্তার মাঝেও আচমকাই বিশাল মাপের গর্তের সৃষ্টি হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই পাশের নদীর গ্রাসে চলে যায় গোটা রাস্তাটিই। সেই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

ইন্ডিয়ান মেটেরোলজিক্যাল ডিপার্মেন্টের তরফে জানানো হয়েছে, বৃষ্টি থামার সম্ভাবনা নেই এখনই। আগামী ২৯ আগস্ট অবধি চলবে এই বৃষ্টি। উত্তরাখণ্ডের একাধিক জায়গায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে।

এর আগে চলতি মাসেই হিমাচল প্রদেশেও ভয়াবহ ভূমিধস নামে। সেই সময় দুর্ঘটনার মুখে পড়েছিল রাজ্য় পর্যটন বিভাগের একটি বাস, একটি ট্রাক ও বহু গাড়ি। টানা এক সপ্তাহ ধরে উদ্ধারকার্য চালিয়ে মোট ২৭জনের মৃত্যু হয়।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version