কলকাতা ব্যুরো: (ছবি- সামাজিক মাধ্যম) গুগল সার্চ করে নিখুঁতভাবে মোবাইল ফোনের তার স্বামীর গলায় পেচিয়ে ঠান্ডা মাথায় খুন করার অভিযোগে ঘটনার ছ দিন পর পুলিশ গ্রেপ্তার করেছিল স্ত্রীকে। আইনজীবী স্বামীকে খুনের পরেও দীর্ঘ সময় তাকে আত্মহত্যা বলে তার চালানোর চেষ্টা করেছিলেন অনিন্দিতা পাল। প্রথমদিকে পুলিশ অনেকটাই মেনে নিয়েছিল। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি।
কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী রজত দে খুনের অভিযোগে ২০১৮র ৩ ডিসেম্বর তার স্ত্রী অনিন্দিতাকে গ্রেপ্তার করেছিল বিধান নগর পুলিশ। সোমবার আদালত ওই খুনের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত করে অনিন্দিতাকে। মঙ্গলবার তার সাজা ঘোষণা হবে। ২০১৮ র নভেম্বরের শেষে হঠাৎই কলকাতা হাইকোর্টের তরুণ আইনজীবীর রহস্য মৃত্যু নিয়ে তোলপাড় শুরু হয় শহরে। তার স্ত্রী অনিন্দিতার সঙ্গে সম্পর্কের অবনতির নিয়ে ছেলের মৃত্যুর পর থানায় অভিযোগ করেছিলেন রজতের পরিবার। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় তারা নিউ টাউনের একটি রেস্তোরাঁয় খেতে যান। সেখান থেকে ফিরে আসার পর রজত একা পাশের ঘরে ছিলেন বলে মৃত্যুর পর দাবি করেছিলেন স্ত্রী।
কিন্তু তার বক্তব্যে অনেক অসঙ্গতি খুঁজে পায় পুলিশ। প্রথমে অনিন্দিতা বলেন খাট থেকে পড়ে গিয়ে মারা গিয়ে থাকতে পারেন তার স্বামী। কিন্তু তা বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়নি পুলিশের। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন গলায় ফাঁস দিয়ে খুন করা হয়েছে রজতকে। কিন্তু টানা জেরাতেও প্রথমে মুখ খোলেননি অনিন্দিতা। দীর্ঘ জেরার পর তার বক্তব্যের সঙ্গে বাস্তবের নানা অসঙ্গতি ধরে ফেলে পুলিশ। তারপরেই গ্রেপ্তার করা হয় দু বছরের সন্তানের মা অনিন্দিতাকে।
অনিন্দিতার সাজা ঘোষণার পর আবার আলোচনায় উঠে এসেছে মনুয়া মজুমদার কান্ড। মনোয়ার পুরুষ বন্ধুকে সঙ্গী করে খুন করেছিলেন স্বামীকে। সেই অভিযোগে এখনো হাজতবাস করছেন এই স্বামী খুনে অভিযুক্ত।