%%sitename%%

এক নজরে

Railway worker arrested: পাক গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার রেল কর্মী

By admin

September 11, 2021

কলকাতা ব্যুরো: ভারতীয় রেলের এক কর্মীর বিরুদ্ধে দেশের গোপন তথ্য পাকিস্তানে পাচারের মারাত্মক অভিযোগ উঠলো। জানা গিয়েছে, রাজস্থানের রাজধানী জয়পুরে ভারতীয় রেলের ডাক বিভাগের ২৭ বছর বয়সী ওই কর্মীর বিরুদ্ধে সেনা বাহিনীর গোপন তথ্য পাক এজেন্টের হাতে তুলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যেই এ নিয়ে একটি অভিযোগ নথিভুক্ত হয়েছে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই ভারতীয় সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা বিভাগ ও রাজ্যের গোয়েন্দা দফতর অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে।

তদন্তে উঠে আসছে রেলের ওই কর্মী পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর এক এজেন্টের সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়াকে হাতিয়ার করে গোপন তথ্য আদান প্রদান করতেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম ভরত বাউড়ি। পুলিশি জেরায় সে জানায় মধুচক্রের ফাঁদ পেতে তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। ভরত বাওড়ি জয়পুর রেলওয়ে স্টেশন পার্শ্বস্ত একটি ডাকঘরে কর্মরত ছিলেন। কিন্তু বিগত ৬ মাস ধরে অর্থের বিনিময়ে দেশের নিরাপত্তা বিষয়ক বহু তথ্য ওই রেলওয়ে কর্মী পাক গুপ্তচরক সংস্থাকে সরবরাহ করেছেন বলে অভিযোগ।

ধৃত পুলিশি জেরার মুখে জানায়, যোধপুর জেলার খেদাপা গ্রামে তাঁর বাড়ি। তিন বছর আগে এমটিএস পরীক্ষা দিয়ে ডাক ঘরের চাকরিটি তিনি পেয়েছিলেন। পুলিশ আধিকারিকদের থেকে পাওয়া তথ্য থেকে জানতে পারা যাচ্ছে যে, ৪ – ৫ মাস আগে ফেসবুকে একটি মেয়ের সঙ্গে তাঁর আলাপ হয় এবং তাঁরা ফোন কল ও ভিডিও কলের মাধ্যমে তারা কথা বলতো। ওই মহিলা তাকে জানান, তিনি নার্সিং পড়ার পাশাপাশি ডাক্তারিতে ভর্তি হওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছেন। এক আত্মীয়কে জয়পুরে স্থানান্তরিত করা বাহানায় তিনি ধৃতের কাছে সেনা ইউনিটের ছবি চেয়ে পাঠান। অভিযুক্ত জানান, রহস্যময়ী সেই নারী তার বিশ্বাস অর্জনের জন্য তার সঙ্গে দেখা করতে জয়পুর আসছেন এই বিষয়ে বেশ কিছু জাল ছবি পাঠান। যখন ওই মহিলা ধৃত ডাক কর্মীর থেকে সেনার গোপন চিঠির ছবি চেয়ে পাঠাতেন, তিনি তার কথামতো হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে চিঠির খাম খুলে তার ছবি তুলে পাঠাতেন।

অভিযুক্তের থেকে পাওয়া তথ্য যাচাই করে দেখার পর সরকারী গোপনীয়তা আইন ১৯২৩ অনুসারে তার বিরুদ্ধে একটি মামলা রুজু করেছে পুলিশ। তদন্তকারী আধিকারিকদের ধৃত জানিয়েছেন তার ওই মহিলা বন্ধুর অনুরোধে তিনি ফোনের সিম কার্ড ও হোয়াটসঅ্যাপের ওটিপি ওই মহিলাকে দিয়ে দেন। ইতিমধ্যেই ধৃতকে জেরা করে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণের পর তদন্তকারীদের চোখ কপালে উঠেছে। এই বিষয়ে আরও বিস্তারিত তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে বলে জানিয়েছেন আধিকারিকরা।