কলকাতা ব্যুরো: কাশ্মীর যতই গরম থাকুক আপাতত সেখান থেকে সাত কোম্পানি সিআরপিএফ জওয়াননকে তুলে আনা হলো রাজ্যের জঙ্গলমহলে নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য। কিছুদিন আগে ধীরে ধীরে বিভিন্ন রাজ্যের ভোটের জন্য এখান থেকে বাহিনী সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু গত মাসখানেকের মধ্যে জঙ্গলমহলে নতুন করে মাওবাদীদের যাতায়াতের তথ্য মেলায় আর কোনরকম ঢিলে দিতে নারাজ রাজ্য।
নতুন আসা যে সাত কোম্পানি বাহিনী তুলে আনা হয়েছে, তাদের নতুন জায়গায় নিরাপত্তার জন্য নিয়োগ করা হচ্ছে। মূলত বর্তমান পরিস্থিতিতে ঝড়খান্ড এবং ওড়িশা লাগোয়া জঙ্গলমহলের পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম এবং বাঁকুড়ার সীমানাবর্তী এলাকাতেই এদের টহল বাড়ানো র ব্যাপারে পরিকল্পনা করেছে রাজ্য।
পুরুলিয়া জেলার নতুন বাহিনীকে পাঠানো হচ্ছে জেলার আর্শা থানার সিরকাবাদে, বলরামপুরের পাথরবাদ, বাগমুন্ডির অযোধ্যা হিলটপ এবং বাগমুন্ডি পিপিএসপি ক্যাম্পে এই বাহিনী নজরদারি চালাবে। বাঁকুড়ার বাড়িকুল থানার ঝিলমিল এলাকায় একটি নতুন ক্যাম্প তৈরি করা হচ্ছে। ঝাড়গ্রামের মূলত বেলপাহাড়ীর তারাফেনী এলাকা এবং জামতাl ঘরা এলাকাতে দুটি নতুন ক্যাম্প করবে নতুন আসা বাহিনী। সম্প্রতি ঝাড়গ্রামে সীমানাবর্তী এলাকায় বেলপাহাড়ি অঞ্চলের গতিবিধি কিছুটা হলেও বেড়েছে মাওবাদীদের। পুরুলিয়ার বিশাল একটা অংশ ঝাড়খণ্ডের উপদ্রুত অঞ্চলের লাগোয়া হ হাওয়ায় সেখানেই বাড়তি বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে।
এর আগে সে বাহিনী মূলত ঝাড়গ্রামে ও পশ্চিম মেদিনপুরের কিছু এলাকায় টহল দিত।