কলকাতা ব্যুরো: রাজ্যের সব বারোয়ারি পুজোর মণ্ডপে হতে চলেছে কন্টেইনমেন্ট জোন অর্থাৎ করোনায় যেসব এলাকা কনটেইনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত হয়, সেইসব এলাকায় যে ধরনের বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়, এক্ষেত্রেও তাই হতে চলেছে। আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়ের বারোয়ারি পুজো নিয়ন্ত্রণের আবেদন করে দায়ের হওয়া মামলার শুনানিতে এমনই ইঙ্গিত দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।

আজ, বেলা দুটোয় এব্যাপারে চূড়ান্ত রায় দেবে বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিচারপতি অরিজিত বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। এদিন শুনানিতে এবার বারোয়ারি পুজোয় রাজ্যের অনুমতি দেওয়া নিয়ে হাইকোর্ট প্রশ্ন তোলে। যেহেতু করোনা সংক্রমণ বাড়ছে, এই অবস্থায় এবার উৎসবের অনুমতি দেযওয়া সরকারের উচিত হয়নি বলে মনে করে আদালত। এদিন ডিভিশন বেঞ্চ বলে, সংবাদপত্রে যেসব ভিড়ের ছবি দেখতে পাচ্ছি তা রীতিমতো আতঙ্কের। মুম্বাইয়ে গণেশ চতুর্থীতে শোভাযাত্রার অনুমোদন দেওয়া হয়নি। অথচ পুনেতে সেই অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। তার ফলে সেখানে কি পরিস্থিতি হয়েছে তা সকলেরই জানা।

আদালত প্রাথমিক ভাবে শুনানির পর যা ইঙ্গিত দিয়েছে, তাতে ভিড় ঠেকাতে এবারে কোন মণ্ডপেই দর্শক ঢুকতে দিতে চায়না হাইকোর্ট। নির্দিষ্টভাবে প্রতি মণ্ডপের জন্য ২০ থেকে ২৫ জন করে ঢোকার অনুমতি দেবে আদালত। সে ক্ষেত্রে সেই সমস্ত উদ্যোক্তা, পুরোহিত, পুজোর কর্মকর্তাদের কারা ঢুকতে চান, তাদের নামের তালিকা আগে থেকে জমা দিতে হবে পুলিশকে।

এদিন আদালত ইঙ্গিত দিয়েছে, তাতে রাজ্যের পুজো করার জন্য ক্লাবগুলোকে দেওয়া ৫০ হাজার টাকা নিয়ে যে বিড়ম্বনা হয়েছে, এবার পুজোর আয়োজন করতে দিয়েও তেমনই বিরম্বনা তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন আইনজীবীরা। ফলে বেলা দুটোয় আদালত চূড়ান্ত রায় কি জানাই সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছেন সব পক্ষের আইনজীবীরা।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version