কলকাতা ব্যুরো: আগামী ২৩ জুন ত্রিপুরার দুই কেন্দ্রে উপনির্বাচন। তার আগে সোমবার নির্বাচনী প্রচারে আগরতলা সফরে যাচ্ছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গী হিসেবে রবিবারই ত্রিপুরা পৌঁছে গিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মিডিয়া কোঅর্ডিনেটর কুণাল ঘোষ। এদিন তিনি সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবার মানুষের সঙ্গে কথা বলবেন। তিনি ত্রিপুরায় পরিবর্তন আনতে এবং যতটা সম্ভব মানুষের কাছে পৌঁছতে আগ্রহী।
সূচি অনুযায়ী, সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবার আগরতলায় একটি জনসভায় ভাষণ দেবেন। এছাড়া আসন্ন উপনির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের হয়ে প্রচার করবেন। এর আগে ১৪ জুন ত্রিপুরা সফরে তৃণমূল সাংসদ একটি রোড শো এবং একটি জনসভায় অংশ নিয়েছিলেন। রোড শো’তে ব্যাপক জনসমাগম ইঙ্গিত দিয়েছিল, ত্রিপুরাবাসী তৃণমূলের সঙ্গে রয়েছেন। এমনই মনে করছে তৃণমূল নেতৃত্ব।
আগরতলায় আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল নেতা মানস ভুঁইয়া ও কৌশানি মুখোপাধ্যায়ও। ত্রিপুরার উন্নতির ক্ষেত্রে তাদের অক্ষমতার জন্য বিরোধী দলগুলির নিন্দা জানিয়ে মানস ভুঁইয়া বলেন, কংগ্রেস আর বিকল্প নয়। কারণ তারা মাটিতে নেমে লড়াই করতে পারেন না। আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমাণ করেছেন যে তিনি মানুষের জন্য লড়াই করতে পারেন এবং তাঁর দেওয়া প্রত্যেকটি প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে পারেন।
প্রবল বৃষ্টিপাত সত্ত্বেও, তৃণমূল কর্মী ও নেতারা ত্রিপুরার জলমগ্ন রাস্তায় নেমে মানুষের মৌলিক প্রয়োজন মেটাতে আপ্রাণ সাহায্য করছেন। ত্রিপুরা প্রদেশ তৃণমূল আগরতলার এই জলমগ্নতার জন্য বিজেপির চরম নিন্দা করেছে।
কুণাল ঘোষ বলেন, বিজেপি বারবার বলে আসছে আগরতলা স্মার্ট সিটি হয়ে গিয়েছে। কিন্তু রাস্তাঘাট জলমগ্ন এবং মানুষ বিপদে পড়েছে। আমরা আমাদের কর্মীদের বলেছি যে প্রচার অগ্রাধিকার নয়। তাদের উচিত প্রথমে মানুষের সাহায্য করা এবং পরিবারের জন্য শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা। অসমের নির্লজ্জ বিজেপি নেতারা তাদের বন্যাবিধ্বস্ত রাজ্যকে দুর্দশায় ফেলে ত্রিপুরায় প্রচারে এসেছেন।