কলকাতা ব্যুরো: অম্বলে না হলেও ঝোলে কিংবা ঝালে তার সত্যিই জুড়ি মেলা ভার। রান্নাঘরে অন্য সবকিছুর থেকে তার কদর সবসময় আলাদা। সে চড়া দাম দিয়ে কিনতে হলেও তাকে ছাড়া মানুষ অচল। হ্যাঁ ঠিকই ধরেছেন আলোচনা করছি পেঁয়াজ নিয়ে। বছরের বিভিন্ন সময় দেখা যায় বাজারে পেঁয়াজের আকাল। আর তা স্পর্শ করলেই রীতিমতো ঝটকা খেতে হয়। তবে উল্লেখযোগ্য ভাবে চলতি বছরে দাম নিয়ন্ত্রণ করতে বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ তুলে রাখার পরিকল্পনা নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
জানা যাচ্ছে প্রায় ২০০,০০০ টন পেঁয়াজ মজুত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সরকারি আধিকারিকদের মতে পেঁয়াজের খরা মরসুমে দাম মারাত্মকভাবে বেড়ে যায়। আর তার জেরে সাধারণ মানুষকে সমস্যায় পড়তে হয়। সেই বিষয়টি মাথায় রেখেই আগেভাগেই পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করেছে সরকার। তবে ওয়াকিবহাল মহলের মতে, অধিকাংশ ভারতীয় খাবারেই পেঁয়াজ ব্যবহার করা হয়। আর সেই পেঁয়াজের দাম আচমকা বেড়ে গেলে মারাত্মক সমস্যায় পড়েন আমজনতা।
এদিকে অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে দেখা গিয়েছে সেপ্টেম্বর মাস নাগাদ আচমকা পেঁয়াজের দাম বাড়তে শুরু করে। মূলত তিন মাস পেঁয়াজ চাষ হয় না। শীতের পর থেকে আবার পেঁয়াজ চাষ শুরু হয়। আর সেই সুযোগটাই কাজে লাগাতে চান অসাধু ব্যবসায়ীদের একাংশ। বাজারে পেঁয়াজের যোগান কম থাকার কথা বলে দাম হু হু করে বাড়তে থাকে।
সরকারি তথ্য অনুসারে দেখা যাচ্ছে ২০১৭-১৮ বছরে প্রায় ৫.১৩৭ মেট্রিক টন পেঁয়াজ মজুত করেছিল সরকার। এরপর ২০২০-২১ সালে সেই পরিমাণ বৃদ্ধি করে ১,০০,০০০ মেট্রিট টন করা হয়। ২০২১-২২-এ সেই মজুতের পরিমাণ অনেকটাই বৃদ্ধি করা হয়েছে। তবে আধিকারিকদের মতে, সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পেঁয়াজের দাম যদি আচমকা বেড়ে যায় তবে যেখানে যেমন প্রয়োজন সেইভাবে পেঁয়াজ বাজারে ছাড়া হবে। দাম নিয়ন্ত্রণের জন্যই এটা করা হবে।