কলকাতা ব্যুরো: করোনা গ্রাফ নিম্নমুখী হওয়ায় ধীরে ধীরে উৎসবের আমেজে ফিরছে বাংলা। ভারতে আজ দোল উৎসব। আর দোল উৎসব মানেই রঙের দেওয়া নেওয়া। সবার সঙ্গে রঙ মেলানোর দিন। আর সেকারণে, রঙের নেশায় রঙিন বাংলাও। রঙ ফিরছে, শহর কলকাতার মনেও। শুক্রবার সকাল থেকেই রঙের উৎসবের মেতেছে কলকাতা।
গোলপার্ক টু গড়িয়া। টালা থেকে টালিগঞ্জ। রঙের নেশা আর আবিরের ছোঁয়ায় মাতোয়ারা গোটা কলকাতা সহ বাংলা। তবে শুধু আবীর নয়, ঋতুরাজ বসন্তর আগমনে প্রকৃতির গায়েও লেগেছে রঙ। শিমূল-পলাশেও রঙের ছড়াছড়ি। এদিন সন্তোষ মিত্র স্কোয়্যারে রঙের উৎসবে মেতে ওঠেন এলাকার ছেলে তথা বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ। গেরুয়া আবিরে মেখে দোল উৎসবে মেতে উঠলেন তিনি। এদিন লেবুতলা পার্কে বেশ জাঁকজমকতার সঙ্গেই দোলের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল।



পাশাপাশি এদিন রংয়ের উৎসবে মেতে ওঠেন কলকাতার মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিম। শুক্রবার দোল উপলক্ষে নিজের পাড়া চেলতায় এলাকাবাসীর সঙ্গে আবির খেললেন ফিরহাদ ৷ উঠে এলো সম্প্রীতির ছবি ৷ গত দু’বছর করোনা সংক্রমণের কারণে রংয়ের উৎসব পালন করা সম্ভব হয়নি, এবছর তাই সঙ্গীদের নিয়ে প্রাণখোলা আনন্দে মাতলেন কলকাতার মেয়র ৷

অন্যদিকে গান গেয়ে, আবির খেলে, ঢোল বাজিয়ে রংয়ের উৎসবে মাতলেন রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু ৷ শুক্রবার বিধাননগরের বিএফ এবং সিএফ ব্লকের মাঠে ব্রজ কি হোলি অনুষ্ঠানে যোগ দিলেন তিনি। সকলকে দোল ও হোলির শুভেচ্ছা জানিয়ে রং খেলায় মাতেন তিনি ৷ গেয়ে ওঠেন রং বরসে…৷ চেনা গম্ভীর মেজাজের বাইরে বেরিয়ে এদিন ফুরফুরে আমেজেই সকলের মাঝে ধরা দিলেন রাজ্যের এই হেভিওয়েট মন্ত্রী ৷

উল্লেখ্য, পরপর দু’বছর করোনা কারণে বসন্ত উৎসব বন্ধ হওয়ায় পর, চলমান বছরেও বসন্ত উৎসব বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। তবে প্রতি বছর বিশ্বভারতীর আদলে দক্ষিণ কলকাতার গল্ফগ্রীনে পালিত হয় বসন্ত উৎসব। সেই উৎসবে নাচে-গানে-রঙে মেতেছে নব প্রজন্ম থেকে প্রবীণ প্রজন্ম।