কলকাতা ব্যুরো: হাইকোর্টের নির্দেশে বাজি নিষিদ্ধ করা হলেও তা কতদূর মানানো যাবে এই দুশ্চিন্তার মধ্যে ওয়ানডে ম্যাচের প্রথম দফায় আপাতত এগিয়ে পুলিশ। কেননা কালীপুজোর রাতে প্রথম সন্ধ্যায় এখনো পর্যন্ত কোথাও বাজি নিয়ে রংবাজির খবর আসেনি পুলিশ বা পরিবেশ দপ্তরের কাছে। যদিও পূর্ব কলকাতায় বেলেঘাটা, গিরিশ পার্ক, লেকটাউন, বাগুইহাটি এলাকায়, সল্টলেকে দত্তাবাদ এলাকায় বিক্ষিপ্তভাবে কিছু বাজির শব্দ পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু অন্যান্যবারের তুলনা করে অভিজ্ঞ পুলিশ অফিসাররা বলছেন, এখনো পর্যন্ত এটাকে নিয়ে খুব বেশি বাড়াবাড়ি বলা উচিত হবে না। কেননা মাথায় রাখতে হবে, হাইকোর্ট এমন একটা সময় বাজি নিষিদ্ধ করে নির্দেশ জারি করেছে যে সময় পাইকারি বিক্রেতাদের হাতে বাজি পৌঁছে গিয়েছে. এমনকি বহু স্থানীয় বিক্রেতাও বাজি কিনে নিয়ে চলে গিয়েছেন ফলে কিছু বাজি যে সাধারণ মানুষের হাতে পৌঁছে গিয়েছে, তা নিশ্চিত। তবে তার যে খুব বেশি ব্যবহার হয়েছে, রাত্রির আটটা পর্যন্ত তা মনে করছে না পরিবেশ দপ্তর। কেননা এখনো পর্যন্ত তাদের কাছে উল্লেখযোগ্য কোনো অভিযোগ নেই।

বাজি নিষিদ্ধ করতে হাইকোর্টের নির্দেশ কার্যকরের জন্য গত ক’দিন ধরেই মাইকে প্রচার চলছিল পুলিশ এবং পুরসভার তরফে। ভবানীপুর, ফুলবাগান, যাদবপুর, রিজেন্ট পার্ক, বেলেঘাটা সহ শহরের বিভিন্ন এলাকায় এদিন সকাল থেকেই ওসি ডি সি রা নেমে পড়েন রাস্তায়। তার আগে রীতিমতো হোম ওয়ার্ক করেছে স্থানীয় থানা। গতবছর যেসব এলাকাগুলিতে বাজি বা আতশবাজির হুল্লোড় হয়েছিল, এবার সেই আবাসনগুলিকেই টার্গেট করে পুলিশ। একেবারে নোটিশ দিয়ে আবাসনের সেক্রেটারিসহ কর্তাদের জানিয়ে দেওয়া হয়, কোন ভাবে বাজি জ্বালানো হলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা হবে।
আর কালী পুজোর রাতে বাজি শহরের অলিগলির মধ্যেও জ্বলছে কিনা তা দেখার জন্য শুধুমাত্র পুলিশের পেট্রোলিং গাড়ি নয়, অটো, বাইক, এমনকি সাইকেলে করেও বিভিন্ন এলাকায় পুলিশ কর্মীদের ডিউটি দেওয়া হয়েছে, পাড়ায় পাড়ায় নজর রাখার জন্য।
আর যেসব আবাসনকে বিপদজনক বলে বাজির ক্ষেত্রে চিহ্নিত করেছে স্থানীয় থানা, সেসব আবাসনের ছাদে পুলিশ পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর এত কিছুর পরেও যদি বাজি জ্বালানো হয় তা ধরে ফেলার জন্য নামানো হয়েছে ড্রোন। সব মিলিয়ে কালীপুজোর রাতে বাজির ওয়ানডে তে প্রথম দফায় এখনো পর্যন্ত রংবাজি পুলিশেরই।