কলকাতা ব্যুরো: হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল শব্দবাজি বা কোনরকম বাজি এবার জ্বালানো যাবে না। কিন্তু কে কার কথা শোনে! হাওড়ার বেলুড়ে একটি আবাসনে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকেই দেদার ফুর্তির তুফান উঠল। বাজি জ্বালানোর চললো। ছাদে গিয়ে আবাসন বাসিন্দারা শব্দবাজি থেকে শুরু করে আতশবাজি জ্বালাচ্ছিলেন। আর তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলছিল চিৎকার-চেঁচামেচি।
একসময় অতিষ্ঠ হয়ে প্রতিবেশীরা খবর দেন পুলিশকে। পুলিশ গিয়ে সোজা উঠে যায় আবাসনের ছাদে। সেখানে গিয়ে দেখা যায় বাজি জ্বলছে বাজি। নিষেধ করলেও শোনার মত অবস্থায় কেউ নেই। ফলে কয়েকজনকে আটক করে পুলিশ সেখান থেকে নামিয়ে আনার চেষ্টা করতেই, শুরু হল পাল্টা মার ধর। আবাসিকরা একেবারে গুন্ডার মত শুরু করলেন মারধর পুলিশকর্মীদের।
পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছয় পুলিশকর্মী কম থাকায় তারা পাল্টা আঘাত দূরে থাক নিজেরাই আহত হন। এরপর বাড়তি বাহিনী নিয়ে পুলিশের অফিসারেরা ওই আবাসনে গিয়ে সেখান থেকেই পাঁচজনকে গ্রেফতার করে থানায় এনে। অন্তত সাত জন পুলিশ কর্মী জখম হন। বেধড়ক মারধরের ফলে তাদের মধ্যে দুজনকে এখনো হাসপাতলে ভর্তি রাখা হয়েছে।
হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে বাজি জ্বালানোর অভিযোগে এবং পুলিশকে কাজে বাধা দেওয়ায় ও মারধর মামলা দায়ের হয়েছে ওই ধৃতদের বিরুদ্ধে।