কলকাতা ব্যুরো: বৃহস্পতিবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হতে চলেছে শহরের পেট্রোল এবং ডিজেল সরবরাহ। অয়েল ট্যাঙ্কার মালিক সংগঠনের ডাকা ধর্মঘটের জেরে মাথায় হাত গ্রাহকদের। ৫ আগস্ট বৃহস্পতিবার থেকেই অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হলো হাওড়ার পেট্রল এবং ডিজেল সরবরাহ। জ্বালানি না পাওয়া গেলে বাজারে তার প্রভাব তীব্র হবে। গাড়ি তেল না পেয়ে বন্ধ হতে পারে পাশাপাশি গাড়িই না চললে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কতটা বাজারে আসবে তাই নিয়ে শঙ্কিত ব্যবসায়ীরা। আবার যে মাল আসবে তার দাম ও যে আকাশ ছোঁয়া হবে তা নিশ্চিত। আর এই অবস্থায় কালোবাজারি, ফাটকা বেচাকেনা শুরু হবে বলে আশঙ্কা। ফলে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার আশঙ্কা জোরালো হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই হাওড়ার মৌরিগ্রামে ইন্ডিয়ান অয়েল ডিপোতে ট্যাঙ্কার মালিকেরা পেট্রল এবং ডিজেলের গাড়িতে রিফিল করেননি। ফলে ছ’টি জেলা- হাওড়া, হুগলি, কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং নদিয়ার একাংশে জ্বালানি তেল সরবরাহ করা যায়নি। ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্যাঙ্কার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বুধবার ইন্ডিয়ান অয়েল-এর পক্ষ থেকে অয়েল ট্যাঙ্কারের জন্য যে টেন্ডার ডাকা হয়, তাতে ট্রান্সপোর্ট রেট অস্বাভাবিক হারে কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। এরই প্রতিবাদে তাঁরা ধর্মঘটে সামিল হয়েছেন।
এদিকে, পেট্রোল এবং ডিজেল ট্যাঙ্কারে না তোলার কারণে পেট্রল পাম্পগুলিতেও তেল সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। তবে এরকম চলতে থাকলে, অবিলম্বে অয়েল ট্যাঙ্কার মালিকদের ধর্মঘট না উঠলে গ্রাহকেরা অত্যন্ত সমস্যায় পড়বেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন পেট্রোল পাম্প মালিকদের বিভিন্ন সংগঠন। ইতিমধ্যেই জেলার সব পেট্রল পাম্পগুলিতে বৃহস্পতিবার থেকেই জ্বালানী সরবরাহ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ধর্মঘট না উঠলে খুব শীঘ্রই কলকাতা-সহ গোটা রাজ্যেই জ্বালানীর তীব্র অভাব দেখা দিতে চলেছে বলে আশঙ্কা। সব থেকে বড় সঙ্কটের মধ্যে পড়তে চলেছে জেলার গণপরিবহণ ব্যবস্থা। মনে করা হচ্ছে শুক্রবার সকাল থেকেই জেলায় পেট্রোল পাম্পগুলিতে তেল আর পাওয়া নাও যেতে পারে। তবে সময় যত গড়াবে আস্তে আস্তে অন্যান্য জেলাতেও এর আঁচ ছড়িয়ে পড়বে।
একেই পেট্রোল ডিজেলের আকাশছোঁয়া দামে নাজেহাল আম আদমি। দাম বাড়লেও যেকোনো অবস্থায় টেনেটুনে পরিস্থিতির সামাল দেওয়া যাচ্ছিল। কিন্তু জ্বালানী সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেলে সাধারণ মানুষ যে চরম দুর্ভোগের শিকার হবেন তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এখন দেখার সবকিছু মিটিয়ে কত দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।