কলকাতা ব্যুরো: একটানা ১০ বার দাম বাড়লো পেট্রল-ডিজেলের। তাও মাত্র ১২ দিনের মধ্যেই। আর এই নিয়ে প্রতিবাদে সরব তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক তথা মিডিয়া কো-অর্ডিনেটর কুণাল ঘোষের সাফ বক্তব্য, এই মূল্যবৃদ্ধি সম্পূর্ণ রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। পাঁচ রাজ্যে ভোটের সময় একদিনও দাম বাড়েনি পেট্রল, ডিজেলের। আর তা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই লাগামহীনভাবে লাগাতার দামবৃদ্ধি হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক ছাড়া কিছুই নয়। এমনই মনে করেন কুণাল।
পেট্রলের দাম লিটারে ৮৪ পয়সা ও ডিজেলের দাম লিটারে ৮০ পয়সা বেড়েছে শুক্রবার রাত থেকে। এই মূল্যবৃদ্ধির ফলে শনিবার কলকাতায় পেট্রলের লিটার পিছু দাম দাঁড়াল ১১২ টাকা ১৯ পয়সা ও ডিজেল হল লিটার প্রতি ৯৭ টাকা ০২ পয়সা। এরপরই এই মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে তৃণমূলের মিডিয়া কো-অর্ডিনেটর কুণাল ঘোষ সাংবাদিক সম্মেলন করে এর তীব্র প্রতিবাদ জানান। বলেন, লাগাতার ১২ দিন ধরে দাম বাড়িয়ে আমজনতার উপর চাপ ক্রমশ বাড়িয়েই যাচ্ছে। ভোটের সময় তো একবারও বাড়ল না পেট্রল-ডিজেলের দাম। আর এখন এইভাবে টানা কেন বেড়ে গেল?
তাঁর আরও বক্তব্য, মনে রাখুন, বিজেপিকে ভোট দেওয়া মানেই কিন্তু তেলের দামবৃদ্ধি, বিজেপিকে ভোট দেওয়া মানেই নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দামবৃদ্ধি, বিজেপিকে ভোট দেওয়া মানেই আমজনতার উপর প্রতিনিয়ত বোঝা চাপিয়ে দেওয়া।
পেট্রোপণ্যের বাড়তি দাম নিয়ে প্রতিবাদের মুখে পড়ে সাফাইও দিয়েছে কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার। তাদের দাবি, এই দাম নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা নিতে পারে রাজ্য সরকার। পেট্রল, ডিজেলের উপর কর কমালেই তা সম্ভব। এ বিষয়ে কুণাল ঘোষের প্রশ্ন, যে সব রাজ্যে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আছে, সেখানে কেন হু হু করে দাম বাড়ল তবে? ক্ষতি কার হল? আমজনতারই তো। সুতরাং, তৃণমূলশাসিত সরকারকে এসব উপদেশ দিয়ে লাভ নেই। এ রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেনাপতিত্বে যে সরকার চলছে, তা কোনওভাবেই কোনও চাপের কাছে মাথা নোয়াবে না। মানুষের হয়ে লড়াই চালিয়ে যাবে।
প্রসঙ্গত, পেট্রোপণ্যের মূ্ল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে চলতি সপ্তাহেই কলকাতায় মহামিছিল করেছে তৃণমূলের যুব-ছাত্র ও মহিলা নেতৃত্ব। দিল্লিতে সংসদের বাইরে ও ভিতরেও সমানভাবে বিরোধিতার সুর চড়িয়েছেন সাংসদরা।