কলকাতা ব্যুরো: বাম আমলে বিরোধী দলনেতার পদ তিনি সামলেছেন। আর তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর থেকে গুরুত্বপূর্ণ দফতর দেওয়া হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। গত ১১ বছর ধরে বিভিন্ন দফতরের মন্ত্রী হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পর এবার সব দফতর থেকে সরানো হল পার্থকে। তিনি এখন ‘প্রাক্তন মন্ত্রী’। হাতে থাকা সব দফতর থেকেই অপসারণ করা হয়েছে তাঁকে। এরপরই নবান্নে তাঁর ঘরের দরজা থেকেও খুলে নেওয়া হল নেমপ্লেট।

প্রথমে রাইটার্স বিল্ডিং-এ বসলেও পরে ২০১৩ সালে নবান্নে চলে আসে মমতার মন্ত্রিসভা। সেখান থেকেই সব প্রশাসনিক কাজকর্ম চলে। ওই বছর থেকেই নবান্নের একতলার ওই ঘরে বসতেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। প্রেস কর্নারের ঠিক উল্টোদিকের ঘরে বসে দফতরের কাজ সামলাতেন তিনি। মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর বা অন্য কোনও গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণার সময় সাংবাদিকদের মুখোমুখিও হতে দেখা যেত তাঁকে। ওই ফ্লোরেই রয়েছে আরও দুই মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও সুজিত বসুর ঘর। ৯ বছর পর সেই ঘর থেকেই খোলা হল পার্থ-র নেমপ্লেট।
তবে ৯ বছর ধরে তাঁর নেমপ্লেট বদলায়নি এমনটা নয়। যখনই দফতর বদলেছে, তখনই নেমপ্লেটে যুক্ত হয়েছে নতুন দফতরের নাম। আর কখনও তাঁকে ওই ঘরে দেখা যাবে কি না, সেই প্রশ্ন রয়েই যাচ্ছে। আপাতত ওই ঘরে কে বসবেন? তারও উত্তর নেই।

ক্ষমতায় আসার পর তাঁকে দেওয়া হয়েছিল শিল্প ও বাণিজ্য দফতরের দায়িত্ব। মাঝে শিক্ষা দফতর সামলেছেন দীর্ঘ সময় ধরে। পরে শিক্ষামন্ত্রী হন ব্রাত্য বসু। আর পার্থকে ফেরানো হয় শিল্প ও বাণিজ্য দফতরে। পাশাপাশি, পরিষদীয় মন্ত্রী ও তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব সামলাতেন তিনি। বৃহস্পতিবার নবান্নের তরফে জানানো হয়েছে তিন দফতরের দায়িত্ব থেকেই অব্যাহতি দেওয়া হল পার্থকে। আপাতত ওই দফতরগুলি দেখবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version