কলকাতা ব্যুরো: ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় কলকাতায় বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের মৃত্যুর ঘটনায় সিবিআই দপ্তরে হাজিরা দিলেন বেলেঘাটার তৃণমূল বিধায়ক পরেশ পাল। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ সিজিও কম্পপ্লেক্সে পৌঁছন তিনি। সোজা ঢুকে যান ভিতরে। তাঁর পৌঁছনোর আগেই অভিজিতের দাদা বিশ্বজিৎ সরকার পৌঁছে যান সিজিও কমপ্লেক্সে। বিশ্বজিৎ বলেন, সিবিআই তাঁকে না ডাকলেও তিনি নিজে থেকেই সিবিআই দফতরে এসেছেন।
গত বছরের মে মাসে নির্বাচনী ফলাফলের পর রাজ্যজুড়ে হিংসার অভিযোগ তুলেছিল বিজেপি। এই নিয়ে আদালতে মামলা হয়। সেই মামলা সুপ্রিম কোর্টেও গড়ায়। কোথায় কোন রাজনৈতিক কর্মী খুন হয়েছেন, সেসবের নেপথ্যে কী ছিল, সব কিছুর তদন্তে শুরু করে সিবিআই। সবার প্রথমে উঠে আসে বেলেঘাটার বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের খুনের ঘটনা।
পরিবারের তরফে অভিযোগ উঠেছিল, তাঁকে পিটিয়ে খুন করেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। বাড়ির কাছেই ওই বিজেপি নেতাকে খুন করা হয়েছিল। তৃণমূল নেতা পরেশ পাল এবং এক কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিলেন অভিজিতের পরিবার। এই ঘটনার তদন্তভার দেওয়া হয়েছিল সিবিআইয়ের হাতে।
তবে এই ঘটনায় পরেশ পাল এবং ওই কাউন্সিলরকে এতদিন জিজ্ঞাসাবাদ করেনি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তা নিয়ে ক্ষোভ ছিল অভিজিতের পরিবারের। প্রতিবাদ জানিয়ে মৃতের দাদা বিশ্বজিত্ সরকার সিজিও কমপ্লেক্সের সামনে প্ল্যাকার্ড হাতে অনশনে শুরু করেছিলেন। তাঁর প্রশ্ন ছিল, অভিজিৎ সরকারের মৃত্যুকালীন বয়ান রয়েছে সিবিআইয়ের হাতে। সেখানে পরেশ পালের নাম থাকলেও কেন এখনও তাঁকে তলব করা হয়নি?
এরপরই এই তদন্তের কিনারায় ফের গতি আনে সিবিআই। বেলেঘাটার তৃণমূল বিধায়ক পরেশ পালকে তলব করে সিবিআই। সেই নির্দেশ মেনেই বুধবার সাড়ে দশটা নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছন পরেশ পাল। কতক্ষণ জেরা করা হয় তাঁকে, বেরিয়ে কী বলবেন, সেদিকে নজর সকলের।