কলকাতা ব্যুরো: শাপুরজি পালোনজি গ্রুপের চেয়ারম্যান পালোনজি মিস্ত্রি প্রয়াত। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৩ বছর। মুম্বইয়ের বাসভবনে সোমবার রাতে প্রয়াত হন প্রবীণ শিল্পপতি। ভারতের অন্যতম বৃহত্তম ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কর্ণধারের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
পালোনজি মিস্ত্রির মৃত্যুতে টুইট করে শোকপ্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। লেখেন, পালোনজি মিস্ত্রির মৃত্যুতে শোকাহত। তিনি শিল্প ও বাণিজ্য জগতে অবিস্মরণীয় অবদান রেখেছেন। তাঁর পরিবার, বন্ধু ও অগুনতি শুভাকাঙ্খীদের প্রতি রইল সমবেদনা। তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করি।
১৯২৯ সালে গুজরাটি পার্সি পরিবারে জন্ম পালোনজির। তাঁর প্রাথমিক শিক্ষা মুম্বইয়ে। উচ্চশিক্ষার জন্য লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজে যান। ১৮ বছর বয়সে তিনি তাঁর বাবার সঙ্গে পারিবারিক ব্যবসায় যোগ দিয়েছিলেন। পালোনজির বাবাই শুরু করেন শাপুরজি পালোনজি নির্মাণ সংস্থা। ১৮৬৫ সালে শাপুরজি পালোনজি গ্রুপের প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। সদর দপ্তর ছিল মুম্বই শহরে। বর্তমানে ইঞ্জিনিয়ারিং, নির্মাণ, পরিকাঠামো, রিয়াল এস্টেট, জল, শক্তি ও আর্থিক ক্ষেত্রে ব্যবসা রয়েছে এই গ্রুপের। সংস্থার ব্যবসা ছড়িয়ে রয়েছে বিশ্বের ৫০টি দেশে। টাটা সন্সে পালোনজিদের ১৮.৪ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। পালোনজির বাবা এই শেয়ার কেনেন ১৯৩০ সালে।
বর্তমানে শাপুরজি পালোনজি গ্রুপের কর্মী সংখ্যা ৫০ হাজারের বেশি। ১৫০ বছরেরও বেশি পুরনো শাপুরজি-পালোনজি গ্রুপ ভারতের অন্যতম বৃহত্তম ব্যবসায়িক সংস্থা। পালোনজি মিস্ত্রির হাত ধরেই এই সংস্থা শিখরে পৌঁছয়। ২০১৬ সালে পালোনজি মিস্ত্রি দেশের তৃতীয় সর্বোচ্চ অসামরিক পুরস্কার পদ্মভূষণে সম্মানিত হন। ব্লুমবার্গ বিলিওনেয়ার্স ইনডেক্স অনুসারে মৃত্যুকালে পালোনজি মিস্ত্রি রেখে গিয়েছেন প্রায় ২৯ বিলিয়ন ডলারের সম্পত্তি। যা তাঁকে ভারতের অন্যতম ধনী ব্যক্তিদের একজন করে তুলেছিল।