কলকাতা ব্যুরো: খুলে দেওয়া হয়েছে ফরাক্কার ১০৯টি লকগেট। ফলে হু হু করে জল বাড়ছে গঙ্গা ও পদ্মায়। পদ্মার জলে প্লাবিত গ্রামের পর গ্রাম। দুর্বিষহ অবস্থা মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জ ২ নম্বর ব্লকের ফিরোজপুর চর সহ পদ্মা তীরবর্তী বিস্তীর্ণ অঞ্চল। নদীতে জলস্তর বেড়েই চলেছে। পাশাপাশি মালদার বিস্তীর্ণ এলাকা বানভাসি হওয়ার প্রবল আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে মালদায় রেল লাইনের নিচ দিয়ে জল বইতে থাকায় বন্ধ করা হয়েছে ১৩ টি ট্রেন।
প্রসঙ্গত, ঝাড়খণ্ড এবং বিহারের বন্যা পরিস্থিতির জেরে গত কয়েকদিন ধরে মুর্শিদাবাদের ফারাক্কা ব্যারেজে জলস্তর হু হু করে বাড়ছে। প্লাবিত হয়েছে ফিরোজপুর চর সহ পদ্মা তীরবর্তী বিস্তীর্ণ এলাকা। বন্যার জল ঢুকে পড়েছে বিএসএফ ক্যাম্পেও। ফলে ক্যাম্প ছেড়ে এলাকার একটি স্কুলে আশ্রয় নিয়েছেন তাঁরা। একইসঙ্গে পদ্মা নদীর জলে প্লাবিত হয়েছে সম্মতিনগর , বড়শিমুল এবং তেঘরী সহ একাধিক গ্রাম।
স্থানীয়দের কথায়, পদ্মা এবং গঙ্গা নদীর মধ্যে দূরত্ব কমে দেড় কিলোমিটার হয়ে গেছে। দুটি নদী মিলে গেলে বন্যা পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে। তবে গ্রামের পর গ্রাম ডুবে গেলেও পর্যাপ্ত ত্রাণ তাঁরা পাচ্ছেন না, এমনই অভিযোগ গ্রামবাসীদের।
অন্যদিকে, মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলা-২ ব্লকেও একই চিত্র দেখা গিয়েছে। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী নির্মলচরের কালুর মোর, চাঁইপাড়া , চর হাজিপাড়া সহ একাধিক এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। পদ্মা নদীতে জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় প্লাবিত জলঙ্গীর বামনাবাদ, চর উদয় নগর কলোনী, লালকুপ চর, টলটলি চর, পরাশপুর চর সহ একাধিক এলাকা। ফলে ঘরছাড়া বহু মানুষ।