কলকাতা ব্যুরো: রাজ্যে করোনা সংক্রমনের হিসেব নিয়ে ফের বিতর্ক তৈরি করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এ রাজ্যে করোনার নমুনা পরীক্ষা করে সংক্রমণ কম দেখানোর চেষ্টা হচ্ছে বলে শনিবার অভিযোগ করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তার যুক্তি, উত্তর প্রদেশ, বিহার, উড়িষ্যার মত রাজ্য নমুনা পরীক্ষা বাড়িয়ে দিয়েছে। ফলে সেখানে সংক্রমণ নিয়ে সঠিক তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।
এদিকে নতুন করে সংক্রমণ বাড়তে থাকায় দিল্লী, মুম্বাই, গুজরাট, রাজস্থান করে কিছু বিধিনিষেধ জারি করেছে।
দিল্লিতে প্রবল সংক্রমনের ফলে মাস্ক ব্যাবহার বাধ্যতামূলক করতে দু হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ যারা মাস্ক ব্যবহার করবেন না তাদের ধরলে দু হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে। একই সঙ্গে দেশ আনলক হাওয়ার পর বিয়ের মতো উৎসবে ২০০ আমন্ত্রিতকে উপস্থিত হওয়ার অনুমতি দিয়েছিল রাজ্য। বর্তমান পরিস্থিতিতে তা আবার নামিয়ে ৫০ করা হয়েছে। বেশ কিছু বড় মার্কেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেজরিওয়ালের সরকার।
মহারাষ্ট্রে ২৩ নভেম্বর থেকে সব স্কুল-কলেজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আবার নতুন করে সংক্রমণ বাড়তে থাকায় বৃহানমুম্বাই পুরসভা এলাকার স্কুলগুলিতে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গুজরাটে নতুন করে সংক্রমণ বাড়তে থাকায় বেশকিছু শহরে কারফিউ জারি করা হয়েছে। মূলত আহমেদাবাদ রাত ন টা থেকে ভোর ছয়টা পর্যন্ত এই কারফিউ চলছে। একইসঙ্গে ২৩ নভেম্বর রাজ্যে স্কুল কলেজ খোলা হচ্ছে না। রাজকোট, সুরাট, ভদে দরাতেও জারি করা হয়েছে
রাত কারফিউ। মধ্যপ্রদেশের ভোপাল, ইন্দোর, গোয়ালিয়ার, বিদিশার মত শহরগুলোতেও একইরকম ভাবে পূর্ব ঘোষণা বাতিল করে বন্ধ করা হচ্ছে রাখা হচ্ছে স্কুল কলেজ। রাজস্থানে সব জেলার শহরগুলিতে ১৪৪ ধারা জারি করা হচ্ছে আগামীকাল থেকে। জেলাশাসকদের আরো কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুমতি দিয়েছেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলোট। যদিও এরাজ্যে দিনে সাড়ে চার হাজার সংক্রমনের পরিসংখ্যান দেওয়া হলেও, এখনো পর্যন্ত নতুন করে কোন কড়াকড়ির লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version