কলকাতা ব্যুরো: এবার গোটা দেশেই রেলের অধীনস্থ একাধিক স্কুল বন্ধ হতে চলেছে। প্রায় প্রতি মাসেই স্কুল বন্ধ বা সংযুক্তিকরণ নিয়ে রেলওয়ে বোর্ড নির্দেশিকা জারি করে চলেছে। অভিযোগ, এমনভাবে নির্দেশিকা জারি করা হচ্ছে, যাতে কর্তৃপক্ষ স্কুল বন্ধ করতে বাধ্য হয়। এরকম স্কুলের সংখ্যা প্রায় ৯৪টি। পশ্চিমবঙ্গের আসানসোল ডিভিশনে আসানসোলের ইস্টার্ন রেলওয়ে হায়ার সেকেন্ডারি স্কুল ছাড়া আসানসোল ও অণ্ডাল, চিত্তরঞ্জননা চারটি, মালদহ ডিভিশনের সাহেবগঞ্জ ও জামালপুর, লিলুয়া, পুরুলিয়ার আদ্রায় তিনটি, খড়্গপুরে তিনটি, শিলিগুড়ি মিলিয়ে প্রায় ২০টি স্কুল রয়েছে। এমন নির্দেশিকা পেয়ে মাথায় হাত শিক্ষক-শিক্ষিকা থেকে শুরু করে ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবক সকলেরই।

কবে স্কুল বন্ধ করতে চাইছেন? সেই তারিখ জানতে চেয়ে রেলওয়ে বোর্ডের প্রিন্সিপাল এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর রেলের সব জেনারেল ম্যানেজারদের গত সপ্তাহে নির্দেশিকা পাঠিয়েছেন। ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কেউ স্কুল চালু রাখতে চাইলে তার কারণ বলতে হবে। কিন্তু স্কুলে কোনও নিয়োগ হবে না, স্কুলের কর্মীদের প্রমোশনও হবে না। এই নির্দেশিকাকে শিক্ষামহল স্কুল বন্ধের পরোক্ষ নির্দেশ বলেই মনে করতে শুরু করেছে। কপালে ভাঁজ পড়েছে অসংখ্য পড়ুয়া এবং তাদের অভিভাবকদের।

কিন্তু শিক্ষাবর্ষের মাঝপথে যদি এভাবে স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়, তাহলে তাদের ভবিষ্যত কী হবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে শিক্ষামহল। নিজেদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে উদ্বিগ্ন শিক্ষক-শিক্ষিকারাও। আর এই ইস্যুতে রেলের শ্রমিক সংগঠনগুলি অবিলম্বে আন্দোলনে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

রেলের এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, অর্থমন্ত্রক থেকেই রেলমন্ত্রককে এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। স্কুল চালানোর দায় কোনওভাবেই নিতে চাইছে না না রেল। হয় রাজ্য সরকারকে, নয়তো কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়কে দায়িত্ব নিতে হবে বলেই মত রেলের।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version