কলকাতা ব্যুরো: সোনিয়ার গান্ধীর ডাকা বৈঠকে যোগ দিল ১৯টি বিরোধী দল। শুক্রবার সন্ধ্যের ভার্চুয়াল বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। বৈঠকে ছিলেন শরদ পাওয়ার, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ভব ঠাকরে, ঝাড়খণ্ডেরর মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন, তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন, ফারুক আব্দুল্লার মতো বিরোধী দলের নেতারা। পাশাপাশি কংগ্রেস, তৃণমূল, এনসিপি, ডিএমকে, শিবসেনা, জেএমএম, সিপিআই, সিপিএম, ন্যাশনাল কনফারেন্স, আরজেডি, এআইইউডিএফ, ভিসিকে, লোকতান্ত্রিক জনতা দল, জেডিএস, আরএলডি, আরএসপি, কেরল কংগ্রেস মানি, পিডিপি, আইইউএমএল-এর মতো দল এদিনের বৈঠকে অংশ নেয়। তবে এই বৈঠকে ছিল না সমাজবাদী পার্টির কোনও প্রতিনিধি। কিন্তু কেন গরহাজির তার কারণ এখনও জানা যায়নি।
প্রসঙ্গত ২৪-এর নির্বাচনকে পাখির চোখ করে মোদী সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে বৈঠক বিরোধী দলের। এদিনের ভার্চুয়াল বৈঠকে ২০২৪-এর লোকসভা ভোটের রণনীতি কী হবে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সেই সঙ্গে বাদল অধিবেশনে কেন্দ্রের লাগাতার বিল পাশ, এমনকী, বিমা বিল পাশ নিয়ে রাজ্যসভায় কেন্দ্রের আচরণ নিয়েও কথা হয়েছে এই বৈঠকে। বিরোধী ঐক্যের মূল কান্ডারি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথম থেকেই একাধিক ইস্যুতে কেন্দ্র তথা নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন তিনি। জোর দিয়েছেন বিরোধী ঐক্যকে।
জানা গিয়েছে, শুক্রবারের বৈঠকে শরদ পাওয়ার রাজ্যের ক্ষমতা খর্ব করার বিষয়টি আলোচনায় এনেছেন। অন্যদিকে, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর উদ্ভব ঠাকরে অবিজেপি রাজ্যগুলির ওপর কেন্দ্রের দ্বিচারিতার বিষয় সামনে এনেছেন। এই বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান সোনিয়া গান্ধী। তবে যাবতীয় মতানৈক্য দূরে রেখে একজোট হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সূত্রের খবর এদিন মমতা কৃষক আন্দোলনের প্রসঙ্গ, মোদী সরকারের বিরুদ্ধে একনায়কতন্ত্রের অভিযোগ ও নানা বঞ্চনার অভিযোগ, পেগাসাস ইস্যু, জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধির প্রসঙ্গ তুলে সরব হন। প্রসঙ্গত জুলাই মাসের শেষে সোনিয়ার সঙ্গে চা চক্রে যোগ দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। এরপর এদিন ভার্চুয়াল মিটিং। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে কেন্দ্রের মোদী সরকারকে পর্যদুস্ত করতে এবার যে খোদ মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় কংগ্রেসের হাত ধরতেও প্রস্তুত তারও ইঙ্গিত এদিন মিলেছে।
তবে বিরোধীদের সঙ্গে এদিনের বৈঠকে জোটের পক্ষে সওয়াল করেছেন সোনিয়া। তিনি বলেন, ‘২০২৪-কে সামনে রেখে এগোতে হবে। রাজ্য ভিত্তিক কিছু জটিলতা থাকবে। তবে তা ভুলে এগিয়ে যেতে হবে।’ তবে এই জোটের নেতৃত্ব যে কংগ্রেস দিতে চায় তার ইঙ্গিত দেন সোনিয়া গান্ধী। তিনি বলেন, ‘এমনটা হতে পারে না যে কংগ্রেসের কোন অস্তিত্ব নেই।’ তবে সোনিয়া গান্ধীর কথাকে বিরোধী জোট কতটা গুরুত্ব দেয় তা অবশ্যই সময় বলবে।