এক নজরে

#SuvenduAdhikari: পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি, সিউড়িতে ব্যারিকেড ভেঙে জখম শুভেন্দু

By admin

April 14, 2022

কলকাতা ব্যুরো: সিউড়িতে আইন অমান্য আন্দোলনে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বিজেপি কর্মীদের। পায়ে ব্যারিকেড পরে আহত হলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বুধবার এদিন সিউড়ি সার্কিট থেকে মিছিল করে জেলা শাসকের দফতর ঘেরাও করে বিক্ষোভ কর্মসূচি ছিল বিজেপি নেতা-কর্মীদের ৷ জেলাশাসকের দফতরের সামনে মোতায়েন পুলিশবাহিনীর সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে আঘাত পান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা ৷

রাজ্যে আইনের শাসন নেই। বগটুই গণহত্যা, বোলপুরে নাবালিকাকে গণধর্ষণ প্রভৃতি জেলায় ঘটে যাওয়া একের পর এক নৃশংস ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার আইন অমান্য কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল বিজেপি ৷ যার পুরোভাগে ছিলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী ৷ এদিকে বিজেপির মিছিল পৌঁছনোর আগে থেকেই জেলা শাসক দফতর ছিল পুলিশে ছয়লাপ ৷ দফতরের সামনে মোতায়েন বিশাল পুলিশ বাহিনী ব্যারিকেড করে বিজেপির মিছিল আটকানোক চেষ্টায় ছিল ৷ স্বাভাবিকভাবেই ঘটনাস্থলে পৌঁছতে পুলিশের সঙ্গে রীতিমতো ধস্তাধস্তি শুরু হয় বিজেপি নেতা-কর্মীদের ৷

ব্যারিকেড ভেঙে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা ৷ যাদের মধ্যে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারীও ৷ ব্যাপক ধস্তাধস্তিতে ব্যারিকেড ভেঙে পায়ে পড়ে শুভেন্দুর ৷ দুর্ঘটনায় ভালরকম জখম হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। আপাতত সিউড়ি সদর হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে তাঁর ৷

তবে এদিনের মিছিল থেকে বিস্ফোরক দাবি করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক। তিনি বলেন, ভোটাভুটির নিরিখে সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে। তাই মুখ্যমন্ত্রী মমতাই থাকুন। ৩৫৫ ধারা দিয়ে দিক। আইনশৃঙ্খলার দায়িত্ব কেন্দ্রীয় সরকার নিয়ে নিক।
এদিকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতার মন্তব্য নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চলছে জোর আলোচনা। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ শুভেন্দুর মন্তব্যকে অবশ্য আমল দিতেই নারাজ। তাঁর মতে, এমনিই ওর মাথায় গণ্ডগোল। গরমে হাঁটতে হাঁটতে মাথার তালু গরম হলে এসব কথা বলে। পাগলামি আরও বেড়ে যায়। বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলিতে যখন কুৎসিত ঘটনা ঘটে তখন কোথায় থাকে? যোগীরাজ্যে উন্নাও, হাথরসের ঘটনা ঘটলে কোখায় থাকে? ত্রিপুরায় ঢালাও সন্ত্রাসের সময় কোথায় থাকে? বাংলার মানুষ বিজেপিকে প্রত্যাখ্যান করেছে। রাজ্য সরকার ব্যবস্থা নিয়েছে। অথচ অযথা কুৎসা করা হচ্ছে।
পাশাপাশি শুভেন্দুর মন্তব্যকে সমর্থন করেননি সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীও। তাঁর মতে, শুভেন্দুর কথায় কিছু আসে যায় কিনা জানিনা। উনি মমতার ভাষাতেই কথা বলেন। মুখ্যমন্ত্রীকে রক্ষা করতে সুকৌশলে দিল্লির প্রচেষ্টা রয়েছে তা সকলেই জানেন। তবে এই ধরনের মন্তব্যকে সমর্থন করি না। বিজেপি কি আধাখেচড়া রাজ্য চাইছে? বাংলা বিজেপির ইচ্ছায় দিল্লির মতো হবে নাকি?