কলকাতা ব্যুরো: যেভাবে করোনার তৃতীয় ঢেউ এর মধ্যেও দুর্গাপুজোয় অঞ্জলি, সিঁদুর খেলা করানোর জন্য বায়না ধরেছিল রাজ্য সরকার। আর তাতে সায় দিয়ে দিয়েছিল হাইকোর্ট। আর তার ফলে স্বাভাবিক ট্রেন চলাচল বন্ধের মধ্যেও হইহই করে একদল নাগরিক বেরিয়ে পড়েছিলেন ঠাকুর দেখতে। যার জেরে ফের রাজ্যের কিছু জেলায় করোনা সংক্রমণ ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী। তাতে অবশ্য বয়ে গেল। একদল মানুষ যখন কালীপুজোকে কেন্দ্র করে উৎসবের মরশুমে সব রকম বাজি নিষিদ্ধ করতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছেন। তখন রাজ্য সরকারের সংস্থা, দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ, বাজি জ্বালানোর অনুমতি দিয়ে দিল। ফলে গতবারে যেভাবে হাইকোর্টের কঠোর নির্দেশে একরকম গোটা রাজ্যে কোনরকম বাজি জ্বালানোয় কঠোর পদক্ষেপ করতে পেরেছিল পুলিশ, এবার দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ এর ‘ সবুজ বাজিতে দু’ঘণ্টা সময়’ দেওয়ার ‘আইনের ফাঁকে’ আবার দেদার বাজি পুড়বে বাংলায়। এমনই আশঙ্কা করছেন পরিবেশকর্মী থেকে চিকিৎসকরা।

এদিকে ছট পুজোর দিনও শুধুমাত্র দুই ঘণ্টার জন্য ফাটানো যাবে বাজি। সকাল ৬টা থেকে ৮টা থেকে এবং বড়দিন এবং নববর্ষের দিন ৩৫ মিনিট বাজি ফাটানোর অনুমতি রয়েছে। রাত ১১টা ৫৫ মিনিট থেকে রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত বাজি ফাটানো যাবে বড়দিন এবং নববর্ষের দিন।

পশ্চিমবঙ্গে শুধুমাত্র ‘গ্রিন’ বাজি বিক্রি করা যেতে পারে বলে বুধবার নির্দেশ দিল পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। দীপাবলির দিন শুধুমাত্র ২ ঘণ্টা বাজি ফাটানো যাবে। রাত ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্তই ফাটানো যাবে বাজি। এদিকে ছট পুজোর দিনও শুধুমাত্র দুই ঘণ্টার জন্য ফাটানো যাবে বাজি। সকাল ৬টা থেকে ৮টা থেকে এবং বড়দিন এবং নববর্ষের দিন ৩৫ মিনিট বাজি ফাটানোর অনুমতি রয়েছে। রাত ১১টা ৫৫ মিনিট থেকে রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত বাজি ফাটানো যাবে বড়দিন এবং নববর্ষের দিন।

এর আগে কালীপুজোয় বাজি পোড়ানোর উপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে জনস্বার্থ মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। ২৯ অক্টোবর সেই মামলার শুনানি আছে হাইকোর্টে। এর আগে ২০২০ সালে করোনাভাইরাসের জেরে বাজি পোড়ানোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। এই বছরও করোনা ভাইরাস দুর্বল হয়নি। তাই বাজি নিষিদ্ধ করা হোক বলে জনস্বার্থ মামলার হলফনামায় উল্লেখ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই অনির্দিষ্টকালের জন্য ময়দানের বাজি বাজার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কারণ বাজি বিক্রি করে মুনাফা করা যাচ্ছে না। ২০২০ সালেও বলা হয়েছিল, বাজিও ফাটানো যাবে না কালীপুজোয়। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ ছিল কোনও বাজি বিক্রিও করা যাবে না। রাজ্যজুড়ে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল বাজি।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version