কলকাতা ব্যুরো: দেশে পেঁয়াজের দাম উত্তরোত্তর বাড়তে থাকায় এবার তাতে হস্তক্ষেপের কথা জানাল কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রের নির্দেশ অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার থেকেই পাইকারি বিক্রেতারা একসঙ্গে ২৫ মেট্রিক টন এবং খুচরো বিক্রেতারা একসঙ্গে দুই মেট্রিক টনের বেশি পেঁয়াজ মজুদ করতে পারবেন না। আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই নির্দেশ বলবৎ করা হলো।
মাঝ সেপ্টেম্বর থেকেই বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়তে শুরু করেছে। বর্তমানে ৮০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে দেশের বিভিন্ন শহরে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। দেশে পেঁয়াজের দাম বাড়তে থাকায় ১৪ সেপ্টেম্বর বিদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের নির্দেশ দেয় ভারত সরকার।
আগামী খারিফ মরসুমের ফসল না উঠা পর্যন্ত পেঁয়াজের এই ঘাটতি চলবে বলে আশঙ্কা। কিন্তু এবার প্রবল বর্ষণে খারিফ শস্যের ক্ষতি হয়েছে। মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, অন্ধপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশের মত রাজ্যগুলিতে, সেখানে উৎপাদিত পেঁয়াজ আগামী মাস চারেক দেশের বাজারে যোগানের কথা। কিন্তু অতিরিক্ত বর্ষায় এবার সেই চাষেও ক্ষতি হয়েছে। ফলে কিভাবে এই অবস্থা সামাল দেওয়া হবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
কেন্দ্রীয় সরকারের জনসংযোগ বিভাগ প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো বা পিআইবির তরফে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২১ অক্টোবর থেকে গত এক বছরের হিসেবে দেখা গিয়েছে ২২.১২ শতাংশ দাম বেড়েছে পেঁয়াজের কেজি প্রতি। এটা গত পাঁচ বছরের হিসেব করলে ১১৪ শতাংশ হচ্ছে।
১০০ শতাংশের বেশি পেঁয়াজের দাম গত পাঁচ বছরে বেড়ে যাওয়ায়, এবার টনক নড়েছে সরকারের। তারপরই পণ্য মজুদ আইনে কে কতটা পেঁয়াজ মজুদ রাখতে পারবে সে ব্যাপারে নির্দেশ জারি করেছে কেন্দ্র।যদিও বাস্তবে এই নির্দেশ মানাবে কে সেটাই বড় প্রশ্ন।
এ ব্যাপারে বিভিন্ন রাজ্যের কৃষি পণ্য বিক্রয়ের বিভাগগুলোকে বাজারে নিজস্ব দোকান বা কেন্দ্র থেকে কম দামে পেঁয়াজ বিক্রির কথা বলা হয়েছে। পেঁয়াজ আমদানির ক্ষেত্রে ২০০৩ সালের যে শর্ত ছিল তাও এই বাজারে কিছুটা শিথিল করা হয়েছে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
এম এম টি সি বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করবে বলেও সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। রাজ্যগুলিকে পাঠানো নির্দেশিকায় কেন্দ্রের বক্তব্য, কালোবাজারি এবং অবৈধ পণ্য মজুদ অভিযোগ এলে, জরুরী পণ্য আইন ১৯৮০ অনুযায়ী এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version