কলকাতা ব্যুরো: শাকসবজি ও খাদ্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি ও আলু পেঁয়াজের দাম কমাতে কালোবাজারি ঠেকানোর জন্য কেন্দ্রকে চিঠি লিখল রাজ্য। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রকে লেখা চিঠিতে আলু ও পেঁয়াজের মতো অতি প্রয়োজনীয় খাদ্য দ্রব্য এবং ডাল ও ভোজ্য তেলের মূল্য বৃদ্ধিতে কেন্দ্রের নতুন কৃষি আইনকে দায়ী করেছেন। রাজ্যের তরফে পাঠানো চিঠিতে অভিযোগ করা হয়েছে, নতুন আইন অনুযায়ী আলু পেঁয়াজের মতো দ্রব্যগুলি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের তালিকা থেকে বাদ পড়ে যাওয়ায়, রাজ্য এ ব্যাপারে কিছু করতে পারছে না। তাই এই সমস্ত জরুরি সামগ্রীর দাম নিয়ন্ত্রণে কালোবাজারি ও মজুতদারদের বাড়বাড়ন্ত হচ্ছে। ফলে সাধারণ মানুষ সমস্যায় পড়ছেন। এই অবস্থায় রাজ্যগুলির হাতে কৃষি পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য কেন্দ্রের কাছে দাবি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

যদিও কেন্দ্রের নির্দেশনা মেনে গত সপ্তাহেই রাজ্য সরকার পেঁয়াজের বাড়তি মজুদ ঠেকাতে নির্দেশিকা দিয়েছিল। সে ক্ষেত্রে খুচরা ব্যবসায়ীরা দুই মেট্রিকটন ও পাইকারী ব্যবসায়ীরা ২৫ মেট্রিক টন পর্যন্ত পেঁয়াজ মজুদ করতে পারবেন। গত সপ্তাহ থেকেই রাজ্যের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ কলকাতার বাজারগুলিতে দাম নিয়ন্ত্রণে হানা দিতে শুরু করেছে। সোমবার মানিকতলা, গরিয়াহাট, যাদবপুরের মতো বেশ কিছু বাজারে অভিযান চালায় ইবি।

যদিও দাম ঠিকঠাক নেওয়ার জন্য সতর্ক করার পাশাপাশি সংবাদমাধ্যমে ছবি তোলাতেই ইবি বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন নাগরিকদের একাংশ। তাদের বাস্তব অভিজ্ঞতা, যে ব্যবসায়ী রোজ ৪২ টাকা কিলো আলু বিক্রি করেন, এ দিন বাজারে হানা হতে পারে, আগাম খবর পেয়ে তারাই ৩৮ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি করেছেন। সর্বত্রই একই রকম ঘটনা ঘটছে।

অথচ বাজারে প্রকৃতই চুপচাপ হানা দেওয়ার বদলে সংবাদমাধ্যমকে দিয়ে ছবি করানোর জন্য আগাম তাদের অভিযানের কথা জানিয়ে দেওয়ায় প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। বাস্তবে কাজের কাজ তাতে কিছুই হচ্ছে না বলে অভিযোগ নাগরিকদের।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version