এক নজরে

Republic Day Tableau: অনেক দেরিতে দায়ের মামলা

By admin

January 24, 2022

কলকাতা ব্যুরো: ট্যাবলো নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল। তবে সেই মামলায় এই মুহূর্তে আদালত হস্তক্ষেপ করবে না। মাত্র একদিন পর সাধারণতন্ত্র দিবস। অনেক দেরী করে মামলা দায়ের হওয়ায় কলকাতা হাইকোর্ট এই আবেদন খারিজ করে দিল। সোমবারই এই মামলার শুনানি ছিল। বলা হয়েছিল ওয়েবসাইটে এই মামলার রায় আপলোড করা হবে। বেলা ২টো নাগাদ তা আপলোড করা হয়। সেখানেই আদালত স্পষ্ট করে দেয় এই মুহূর্তে তারা কোনও হস্তক্ষেপ করছে না কারণ, মঙ্গলবার বাদ দিলে বুধবারই ২৬ জানুয়ারি। সেই প্রেক্ষিতে অনেক দেরী করে মামলা দায়ের হয়েছে বলে পর্যবেক্ষণ আদালতের।

সোমবার হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের এজলাসে এই মামলার শুনানি ছিল। শুনানি চলাকালীনই প্রধান বিচারপতি একটা ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, আর রায়ে সেটাই স্পষ্ট হল। শুনানি পর্বে তিনি বলেছিলেন, এই মামলা অনেকটা দেরী করে দায়ের হয়েছে। একদিন পর যেখানে সাধারণতন্ত্র দিবস, সেখানে এই মামলার অর্থ কী থাকবে? কারণ, এ ক্ষেত্রে যদি কোনও নির্দেশও দেওয়া হয় কেন্দ্রকে, তা হলে তা ফলপ্রসূ হতেও কিছুটা সময় লাগবে। আর আদালতের রায়েও দেখা গেলো তারই প্রতিফলন। এদিন প্রধান বিচারপতি স্পষ্ট জানিয়ে দেন আপাতত মামলাটির নিষ্পত্তি করে দেওয়া হচ্ছে।

উল্লেখ্য, গত ২০ জানুয়ারি কলকাতা হাইকোর্টে নেতাজির ট্যাবলো বাদ সংক্রান্ত একটি মামলা দায়ের করা হয়। জনস্বার্থ মামলাটি করেছিলেন আইনজীবী রমাপ্রসাদ সরকার। দিল্লিতে সাধারণতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে কেন বাংলার নেতাজি-ট্যাবলোর প্রস্তাব খারিজ করেছে কেন্দ্র তা জানতে চেয়েই এই মামলা করেন তিনি। কেন ২৬ জানুয়ারির কুচকাওয়াজে বাদ পড়ল নেতাজির ট্যাবলো? রাজ্যের তৈরি ট্যাবলো কেন বাদ দেওয়া হল? সেই প্রশ্ন তুলেই দায়ের হয় এই মামলা। রমাপ্রসাদ সরকারের বক্তব্য ছিল, কেন এই ট্যাবলো কেন্দ্র সরকার বাদ দিয়েছে, সে বিষয়ে কোনও বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়নি কেন্দ্রের তরফে।

সোমবার এই মামলার শুনানি চলাকালীন কেন্দ্রের অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল ওয়াই জে দস্তুর জানান, ২৮টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল নিজেদের ট্যাবলো কুচকাওয়াজে রাখার আবেদন করেছিল। তার মধ্যে যাদের ট্যাবলো বাদ গিয়েছে, তাদের কেন্দ্রের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে কেন ট্যাবলো বাতিল হয়েছে।

তিনি আরও জানান, বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার সর্বোতভাবে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর প্রতি শ্রদ্ধাশীল। বিভিন্ন সময়ে তারা নিজেদের মতো করে নেতাজির প্রতি, স্বাধীনতা সংগ্রামে তাঁর অবদানের প্রতি শ্রদ্ধা কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপণ করেছে। এর আগে নেতাজি অবহেলিত ছিলেন। কিন্তু বর্তমান সরকার তাঁকে সবসময়ই সম্মান জানিয়েছে।