কলকাতা ব্যুরো: দ্বিতীয় দিনেও বন্ধ সফল করতে পথে নামলেন বাম কর্মী-সমর্থকরা। কলকাতার রাস্তায় বাস চললেও তার সংখ্যা স্বাভাবিকের তুলনায় অনেকটাই কম। যাদবপুর-সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে উঠে এসেছে বিক্ষিপ্ত অশান্তির ছবি। কোচবিহারে ধর্মঘটীদের সঙ্গে হাতাহাতি পুলিশের। উত্তরবঙ্গের কয়েকটি জেলায় বন্ধ অধিকাংশ দোকান। তবে শুধু বাংলা নয়, দেশজুড়ে মিশ্র প্রভাব বামেদের বন্ধের।
মোদি সরকারের একাধিক নীতির বিরোধিতায় ২৮ ও ২৯ মার্চ অর্থাৎ সোম ও মঙ্গলবার বন্ধের ডাক দিয়েছিল বামেরা। জনজীবনে যাতে ধর্মঘটের প্রভাব না পড়ে সেদিকে নজর রেখেছে রাজ্য। তা সত্ত্বেও সোমবার সকাল থেকে বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে উঠে এসেছিল অশান্তির ছবি। মঙ্গলবারও পরিস্থিতি প্রায় একইরকম। সকাল থেকেই যাদবপুরের ৮ বি, বিজয়গড় এলাকায় পথে নামে বামেরা। বাঘাযতীন মোড়ে দফায় দফায় চলে বিক্ষোভ। খাস কলকাতায় ধর্মঘটীদের বাধার মুখে পড়ে একাধিক বাস। দক্ষিণবঙ্গের জেলায় জেলায় একই ছবি। কোথাও টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ। কোথাও আবার বাইকে বেরিয়ে বন্ধ সমর্থকদের বাধার মুখে পড়ে আমজমতা।
সোমবার কোচবিহারে বাস ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছিল। মঙ্গলবার ভোর থেকেই বেসরকারি বাসের দেখা মিলছে না কোচবিহারে। বাধা পাচ্ছে সরকারি বাসও। এদিন ফের কোচবিহারে বাস আটকাতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন বন্ধ সমর্থকরা। এদিকে আলিপুরদুয়ার, মালবাজার, ধূপগুড়ি-সহ উত্তরবঙ্গের অধিকাংশ এলাকায় বন্ধ দোকানপাট। শুনশান পথঘাট।
তবে শুধু বাংলা নয়, দেশজুড়ে মিশ্র প্রভাব পড়েছে বামেদের ডাকা বাংলা বন্ধের। বিভিন্ন জায়গায় বন্ধ সমর্থনে পথে বসেছেন বামেরা। পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টায় পুলিশ।