কলকাতা ব্যুরো: দেশে কোভিডের সুনামি চলছে। এই পরিস্থিতিতে এবার পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করলো নির্বাচন কমিশন। গোয়া, উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, পঞ্জাব এবং মণিপুরের বিধানসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্র। আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি উত্তরপ্রদেশে প্রথম দফায় ভোট।
এরপর ১৪ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় দফায় ভোট। পঞ্জাব, উত্তরাখণ্ড এবং গোয়ায় নির্বাচন আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জানিয়েছেন, কোভিড পরিস্থিতিতে নয়া গাইডলাইন মেনে ভোট হবে এই পাঁচ রাজ্যে। নির্বাচনের ফলাফল আগামী ১০ মার্চ।
শনিবার সুশীল চন্দ্র তাঁর বক্তব্যের মাঝেই একটি শায়েরি করেন। তিনি বলেন, ইয়াকিন হো তো কই রাস্তা নিকলতা হ্যায়। হাওয়া কি ওত ভি লেকর চিরাগ জ্বলতা হ্যায়। অর্থাৎ হাওয়া থাকা সত্ত্বেও যেমন প্রদীপ জ্বলতে থাকে, তেমনই যে কোনও প্রতিকূল পরিস্থিতিতে ইচ্ছা থাকলেই তা বাস্তবায়িত হয়।
কোভিড পরিস্থিতিতে নির্বাচন করা একটা চ্যালেঞ্জ। গত ডিসেম্বের পাঁচ রাজ্য পরিদর্শন করেছেন কমিশনের আধিকারিকরা, বললেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার। তিনি জানিয়েছেন, এই পাঁচ রাজ্যে মোট ভোটার সংখ্যা ১৮ কোটি ৩০ লাখ। তার মধ্যে প্রথমবারের ভোটদাতার সংখ্যা ২৪ লাখ ৯ হাজার।
উল্লেখ্য, পঞ্জাব, উত্তরাখণ্ড এবং গোয়ায় এক দফায় ১৪ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন হবে। সেখানে উত্তরপ্রদেশে সাত দফায় ভোট হবে। প্রথম দফা ১০ ফেব্রুয়ারি, দ্বিতীয় দফা ১৪ ফেব্রুয়ারি, তৃতীয় দফা ২০ ফেব্রুয়ারি, চতুর্থ দফা ২৩ ফেব্রুয়ারি, পঞ্চম দফা ২৭ ফেব্রুয়ারি, ষষ্ঠ দফা ৩ মার্চ এবং সপ্তম দফা ৭ মার্চ। মণিপুরে দু’দফায় ভোট। প্রথম দফা ২৭ ফেব্রুয়ারি এবং দ্বিতীয় দফা ৩ মার্চ। প্রতিটি রাজ্যেই পর্যাপ্ত পরিমাণ কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান মোতায়েন রাখা হবে বলে জানিয়েছে কমিশন।
একনজরে কোভিড পর্বে নির্বাচনের নয়া গাইডলাইন-
১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত কোনও জনসভা করা যাবে না। রাত ৮টার পর নির্বাচনী প্রচার করা যাবে না। এরপর পরবর্তী পরিস্থিতি বিবেচনা করে তবেই পুনরায় সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন।
করোনায় আক্রান্তদের জন্য পোস্টাল ব্যালটের ব্যবস্থা।
মহিলাদের জন্য মহিলা পরিচালিত ভোটকেন্দ্র। ১৬২০টি মহিলা পরিচালিত
ভোটকেন্দ্রের ব্যবস্থা করা হয়েছে এই পাঁচ রাজ্যে।
এক লক্ষেরও বেশি বুথে ওয়েব কাস্টিংয়ের ব্যবস্থা।
ভোট পরিচালনার দায়িত্বে থাকবে ৯০০ পর্যবেক্ষক।
ভার্চুয়াল এবং ডিজিটাল মাধ্যম নির্বাচনী প্রচারের উপর বেশি জোর দিতে হবে।
পদযাত্রা, রোড শো, র্যালির উপর নিষেধাজ্ঞা।
অন্যদিকে, নির্বাচন পর্বে যাতে কোনওভাবেই আদর্শ নির্বাচন বিধি ভঙ্গ না হয়, তার জন্য থাকছে কমিশনের cVGIL অ্যাপ। কোনও রাজনৈতিক দল কিংবা ব্যক্তিবিশেষের তরফে আর্থিক লেনদেন হলে এই অ্যাপের মাধ্যমে অভিযোগ জানানো যাবে। অভিযোগ জমা পড়ার ১০০ মিনিটের মধ্যে তাঁর সমাধান হবে বলেও জানানো হয়েছে।