কলকাতা ব্যুরো: এটিএমে টাকা না থাকার সমস্যার সমাধান হয়তো হতে চলেছে। ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক বা আরবিআই-এর নয়া ঘোষণায় জানা গিয়েছে, এবার থেকে এটিএমে টাকা কম থাকলে সরাসরি তার দায় পড়বে ব্যাঙ্কগুলির উপর। প্রতিটি ব্যাঙ্ককে এটিএম পিছু বড় অঙ্কের জরিমানাও করতে চলেছে আরবিআই।
ঘোষণায় আরও বলা হয়েছে, এটিএম গুলির ক্ষেত্রে টাকা না থাকা, দেশের সাধারণ নাগরিকদের ক্ষেত্রে অনেকসময় প্রবল সমস্যা তৈরি করে থাকে। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের সেই দিকে নজর দেওয়া একান্ত জরুরি। সারা দেশ জুড়ে এটিএম-এর অব্যবস্থার ফলে সাধারণ মানুষকে যে দুর্ভোগের মধ্যে যেতে হয়, তা শেষ করাই একমাত্র উদ্দেশ্য ব্যাঙ্কের। এটিএমের অব্যবস্থা কেটে গিয়ে যাতে টাকা সংক্রান্ত ক্ষেত্রে সঠিক নিয়ম তৈরি হয় সেই দিকে নজর দিতে হবে ব্যাঙ্কগুলিকে।
কিন্তু কত টাকা করে জরিমাণা করা হচ্ছে ব্যাঙ্কগুলিকে? আরবিআই-এর মতে এটিএম পিছু ১০ হাজার টাকা করে জরিমাণার মূল্য ধার্য করা হয়েছে। মাসে যদি ১০ ঘণ্টার বেশি কোনও এটিএমে টাকা না থাকে তবেই ব্যাঙ্কের এটিএম পিছু জরিমাণার ওই মূল্য ধার্য করা হয়েছে।
শুধু ব্যাঙ্ক নয়, একাধিক নেটওয়ার্ক, যাকে পরিভাষায় বলা হয় ‘হোয়াইট লেভেল এটিএম অপরেটার্স’, এটিএম পরিচালনার ক্ষেত্রে তাদেরও মানতে হবে এই নিয়ম। জানানো হয়েছে, এটিএম নগদ শূন্য হয়ে গেলে সাধারণ মানুষকে বিপুল সমস্যার মুখে পড়তে হয়। যাতে তেমন ঘটনা না ঘটে, সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। তবে এই ব্যবস্থা চালু হলে বড় শহর গুলির তুলনায় গ্রামাঞ্চলে বেশি জরিমানা সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোকে দিতে হবে বলে মনে করছেন গ্রাহকরা। তাদের মতে, শহরে এটিএম গুলি অধিকাংশ সময়ই টাকা ভরা থাকে। কিন্তু গ্রামাঞ্চলে অভিজ্ঞতা গ্রাহকদের খুব খারাপ। সেসব জায়গায় বিশাল একটা এলাকার মধ্যে হয়তো একটি ব্যাংকের এটিএম রয়েছে। অথচ সেখানে টাকা থাকেনা মাসের মধ্যে বেশিরভাগ সময়ই। এই ব্যবস্থা কার্যকর হলে গ্রামাঞ্চলে এটিএম গুলিতে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সময় মত টাকা ভরার দায় বাড়বে বলে আশা গ্রাহকদের।
আর যদি এই নির্দেশ পালনে ব্যর্থ হয় সংস্থা, তাহলে দিতে হবে জরিমানা। ১ অক্টোবর থেকে যে নিয়ম চালু হচ্ছে, সেই অনুসারে, এক মাসে ১০ ঘণ্টার বেশি একটি এটিএম-এ টাকা না থাকলে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হতে পারে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নির্দেশে স্পষ্টই বলা হয়েছে, এটিএমের ‘ডাউন টাইম’ বা কতক্ষণ সেটি নগদ শূন্য থাকছে তা জানাতে হবে নিয়মিত।