কলকাতা ব্যুরো: জেএমবি জঙ্গি সন্দেহে একজনকে গ্রেফতার করলো জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (NIA)। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সুভাষগ্রাম এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃত আবদুল মান্নান বাংলাদেশের বাসিন্দা। তাকে কলকাতায় এনে আদালতে পেশ করে নিজেদের হেফাজতে নেবেন এনআইএ-এর গোয়েন্দারা।
নব্য জেএমবির সদস্যরা পুরাতন জেএমবি জঙ্গিদের নিয়ে একত্রিত হয়েছে। আগাম এই খবর ছিল এনআইএ-এর কাছে। তাছাড়াও এ রাজ্যে যে তারা ফের পুজোর পর স্লিপার সেল শক্ত করছে, সে খবরও ছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছে। সেই মতোই তদন্ত করেই ফের সাফল্য পেলো এনআইএ।
মঙ্গলবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুভাষগ্রাম থেকে জেএমবি জঙ্গি সন্দেহে আব্দুলকে গ্রেফতার করা হয়। এনআইএ সূত্রে খবর, ধৃতের কাছ থেকে মিলেছে একাধিক জাল ভোটার ও আধার কার্ড। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, কয়েক বছর আগে বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসে ওই জেএমবি জঙ্গি। একাধিক এলাকায় যুবক যুবতীদের মগজ ধোলাইয়ের জন্য তাকে পাঠানো হয়েছে। বেশ কয়েকজনকে সে জাল পরিচয়পত্র তৈরি করে দেয় বলেও গোয়েন্দাদের অনুমান।
এনআইএ সুত্রে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী টানা জেরার ফলে উঠে আসছে বিভিন্ন তথ্য। বিশেষত এই মডিউলের সঙ্গে জড়ীত এবং দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আর কোন কোন জঙ্গি এখনও রয়েছেন সেই তথ্যের খোঁজ চালাচ্ছে তারা। বুধবার আব্দুল মান্নান কে বাঙ্কশাল কোর্টের চিফ মেট্রপলিটান মাজিস্ট্রেটের কোর্টে পেশ করা হবে। সেখানে তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে এনআইএ। কথায় গা ঢাকা দিয়ে ছিল আব্দুল এবং কারা তাঁর সাথে রয়েছে সেই খবর জানার চেষ্টা করা হবে আব্দুলের কাছ থেকে।
বাংলাদেশের জেএমবি জঙ্গিদের সঙ্গে সরাসরি যোগ ছিল ধৃতের। চলতি বছরের জুলাইয়ের গোড়ায়, হরিদেবপুর থেকে চার জেএমবি জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স । পরে ধৃতদের জেরা করে গোটা ঘটনার তদন্তভার নিজেদের হাতে নেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা । তিনজনকে ইতিমধ্যেই হেফাজতে নিয়েছে তারা।
এই ঘটনায় কলকাতা পুলিশের এসটিএফ-এর গোয়েন্দারাও এনআইএ-র সঙ্গে কথা বলছে । জানা গিয়েছে, নাম ভাঁড়িয়ে আরও একাধিক জেএমবি সদস্য এ রাজ্যে গা ঢাকা দিয়ে আছে বলে খবর। মূলত স্লিপার সেল আরও মজবুত করতেই জেএমবি সদস্যরা ফের ময়দানে নেমেছে বলে অনুমান করছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা ।