কলকাতা ব্যুরো: কেরালা থেকে আল-কায়েদার জঙ্গী সন্দেহে যে তিনজনকে এনআইএ গ্রেপ্তার করেছে তারাও মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা। এরা আগে থেকেই কেরালায় পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে গিয়ে জঙ্গী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। মুর্শিদাবাদের ধৃতদের এদিন দুপুরের মধ্যেই কলকাতায় এন আই এর বিশেষ আদালতে হাজির করতে চায় তদন্তকারী সংস্থা। সেক্ষেত্রে এই দিনই ট্রানজিট রিমান্ডে তাদের দিল্লি নিয়ে যাওয়া হবে কিনা তা এখনো স্পষ্ট নয়।
এনআইএর অন্য আরো কয়েকটি দল এখনও মুর্শিদাবাদ ও মালদার বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি চালাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। সে ক্ষেত্রে নতুন করে আরও কয়েকজনের গ্রেপ্তার হওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছেন তদন্তকারীরা। ধৃতদের থেকে দেশি আগ্নেয়াস্ত্র ছাড়াও বিস্ফোরক তৈরি প্রচুর পরিমাণে কাঁচামাল, ডিটোনেটর সহ অন্যান্য জিনিসপত্র বাজেয়াপ্ত করেছে এনআইএ।
মুর্শিদাবাদ সীমান্তবর্তী জেলা হওয়ায় এবং আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পরা এলাকায় এর আগেও বিভিন্ন জঙ্গী সংগঠন নিজেদের লোক খুঁজ তে এ সব জায়গায় টার্গেট করেছিল। আইসিস থেকে শুরু করে বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠনের বেশ কিছু লোককে এর আগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল মালদা, মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে। কিন্তু এবার আল-কায়েদার মডিউল হিসেবে সেই মুর্শিদাবাদের বাসিন্দাদের এনআইএর পাকড়াও করা বড় সাফল্য হিসেবেই মনে করছেন নিরাপত্তা আধিকারিকরা।
প্রাথমিকভাবে মহারাষ্ট্রে এক জঙ্গির থেকে পাওয়া তথ্য সূত্র ধরেই এনআইএ এই ন’জনকে গ্রেপ্তার করেছে। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, ন্যাশনাল ক্যাপিটাল রিজিয়নের এলাকায় নাশকতার ছক করেছিল এই সংগঠন। শুধু তাই নয়, কোচিতে, দিল্লি, মুম্বাইয়ে এদের নাশকতার ছিল বলেও দাবি। কোচির নৌসেনা ঘাঁটিতেও এরা হামলার ছক করেছিল বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। তদন্তকারী সংস্থার দাবি, সিঙ্গেল উলফ অ্যাটাকের কায়দায় মানববোমা হামলায় অংশ নেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল সংগঠনটি।