কলকাতা ব্যুরো: রামপুরহাট কাণ্ডে স্বতঃপ্রণোদিত অভিযোগ দায়ের করলো জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। বৃহস্পতিবার একথা জানিয়েছেন কমিশনের চেয়ারপার্সন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অরুণ মিশ্র। কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে যে, বগটুইয়ে যে ভয়াবহ হত্যালীলা ঘটেছে, সেই ঘটনার তদন্তে রামপুরহাট আসবেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্যরা। রামপুরহাটে এসেই কমিশন তদন্ত করবে বলে জানিয়েছেন অরুণ মিশ্র।

ইতিমধ্যে বগটুইয়ের ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। ঘটনার আঁচ গিয়ে পড়েছে দিল্লিতেও। এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে সরব হয়েছেন বিরোধীরা। অন্যদিকে, বৃহস্পতিবারই বগটুইয়ে গিয়ে নিহতদের পরিজনদের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমনন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বগটুই গ্রামে দাঁড়িয়েই তৃণমূল ব্লক সভাপতি আনারুল হোসেনকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন তিনি। বলেন, অবিলম্বে আনারুলকে গ্রেফতার করতে হবে। মুখ্যমন্ত্রীর এই নির্দেশের আড়াই ঘণ্টা পর তারাপীঠ থেকে আনারুলকে গ্রেফতার করে পুলিস। বগটুইয়ে দাঁড়িয়ে এদিন মুখ্যমন্ত্রী দোষীরা যাতে কোনওভাবেই ছাড়া না পায়, দোষীরা যাতে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পায়, তা সুনিশ্চিত করার নির্দেশ দেন।

প্রসঙ্গত, রামপুরহাটের বগটুইয়ে ৮ গ্রামবাসীর অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় বুধবার স্বতঃপ্রণোদিত মামলা গ্রহণ করেছে কলকাতা হাইকোর্টও। বৃহস্পতিবার শুনানি-পর্বে নন্দীগ্রামের সঙ্গে তুলনা টেনে ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবি তোলেন আবেদনকারী পক্ষের আইনজীবীরা। এর আগে রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্ত করতে আগেই জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে দায়িত্ব দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। অন্যদিকে, বগটুই হত্যাকাণ্ডে বুধবার রাজ্য সরকারকে নোটিস পাঠিয়েছে জাতীয় মহিলা কমিশনও।

পাশাপাশি, এই ঘটনায় রাজ্যের শিশু সুরক্ষা কমিশনের তরফেও রিপোর্ট চাওয়ার কথা জানান চেয়ারপার্সন অনন্যা চক্রবর্তী। তিনি স্পষ্ট বলেন, কমিশন কোনও রং দেখে না। আমি মনে করি এবং কমিশন মনে করে, যে দলের লোক-ই এই কাজ করুক না কেন, তার শাস্তি পাওয়া উচিৎ। আমরা চাই সে শাস্তি পাক। এমনভাবে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক, যাতে এই ঘটনা আর না ঘটে।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version