এক নজরে

নিউটাউনে তরুণীর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় এবার চাঞ্চল্যকর মোড়

By admin

December 24, 2020

কলকাতা ব্যুরোঃ নিউটাউনে তরুণীর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর মোড়। ঘরের মধ্যে থেকে উদ্ধার হওয়া চিরকুটে লেখা “তোকে মারতে চাইনি, কিন্তু বাধ্য হয়ে মারতে হল”। প্রাথমিকভাবে অনুমান এই চিরকুট অমিতের লেখা। পুলিশ অমিতের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে।

জানা গিয়েছে, পশ্চিম মেদিনীপুরের বিনপুরের বাসিন্দা চুমকি বিবাহিতা। তাঁর স্বামী চন্দন পেশায় গাড়িচালক। অমিত ওই জেলারই গোপীবল্লভপুরের বাসিন্দা। মৃতার পরিবারের দাবি, চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে চুমকিকে কলকাতা আনে অমিত। মঙ্গলবার দুপুরে নিউটাউনের একটি হোটেলের একটি রুম ভাড়া করে অমিত ঘোষ ও চুমকি ঘোষ। সন্ধে ৭ টায় তাঁদের ঘর ছেড়ে দেওয়ার কথা ছিল।

নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে যাওয়ার দীর্ঘক্ষণ পরও তাঁরা ঘর না ছাড়ায় সন্দেহ হয় হোটেল কর্মীদের। তাঁরা ডুপ্লিকেট চাবি দিয়ে ঘর খুলতেই মেলে চুমকির নগ্ন রক্তাক্ত দেহ। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তল্লাশি চালাতেই মেলে একটি নোট। এদিকে হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ জানতে পেরেছে, ঘটনার দিন বিকেল ৪ টে নাগাদ ঘটনাস্থল ছাড়ে অভিযুক্ত অমিত। এই হত্যাকাণ্ডের কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। তবে পুলিশের অনুমান প্রতিশোধস্পৃহা থেকে এই খুন।

যেভাবে হত্যা করা হয়েছে তা মুহূর্তের সিদ্ধান্ত নয়, বরং রীতিমতো ছক অনুযায়ী বলেই মনে করা হচ্ছে। প্রথমে চার্জারের তার জাতীয় কিছু দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় চুমকিকে। পরে মৃত্যু নিশ্চিত করতে সারা শরীরে এলোপাথারি কোপানো হয় বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের।