কলকাতা ব্যুরো: ভারতে আরও এক ওমিক্রন আক্রান্তের সন্ধান মিলল। কর্নাটকের পর এবার গুজরাতের জামনগরে এক ব্যক্তির শরীরে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের সংক্রমণ। কয়েকদিন আগেই জিম্বাবোয়ে থেকে ফিরেছেন ওই ব্যবসায়ী। এই নিয়ে ভারতে এখনও পর্যন্ত তিন জন নয়া করোনা প্রজাতির সংক্রমণে আক্রান্ত।
এছাড়াও দিল্লিতে ১১ জনের শরীরে এই নয়া প্রজাতির সংক্রমণ হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তাদের রিপোর্ট কোভিড পজিটিভ এলেও তারা ওমিক্রন-এ আক্রান্ত কিনা তা নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি।

বৃহস্পতিবারই ভারতে প্রথম ওমিক্রন আক্রান্তের সন্ধান মেলে। কর্নাটকের দুই জনের শরীরে মেলে এই নয়া প্রজাতির করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ। এবার তা ছড়াল ভারতের আরও এক রাজ্যে। আক্রান্ত ব্যক্তি গত কয়েকদিনে যাদের সংস্পর্শে এসেছে তাদেরও লালারস সংগ্রহ করা হবে বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, গত ২০ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে কর্নাটকে ফেরত আসা দুই ব্যক্তির দেহে ওমিক্রন-এর হদিশ মেলে। তাঁদের মধ্যে একজনের বয়স ৬৬ বছর এবং অন্যজনের বয়স ৪৬ বছর। এঁদের মধ্যে ৬৬ বছর বয়সি বৃদ্ধ ওমিক্রনে সংক্রমিত হওয়ার ৭ দিনের মধ্যেই গত ২৭ নভেম্বর দুবাইয়ের বিমান ধরেন। বেঙ্গালুরু পুরসভার তরফে প্রকাশিত রিপোর্টেই এই দাবি করা হয়েছে।

ওমিক্রনে সংক্রমিত ৪৬ বছরের ব্যক্তি বেঙ্গালুরুর বোম্মানাহালির বাসিন্দা এবং পেশায় চিকিৎসক। বান্নেরঘাটা রোডের একটি হাসপাতালে কর্মরত তিনি। সাম্প্রতিককালে দেশের বাইরে যাওয়া দূরস্ত। রাজ্যের বাইরেও পা রাখেননি। করোনা ভ্যাকসিনের দু’টি ডোজও নিয়েছেন। তা সত্ত্বেও দিন দশেক আগে শরীরে জ্বর-সর্দি সহ করোনার উপসর্গ দেখা দিলে তিনি করোনা পরীক্ষা করান।

গত ২২ নভেম্বর রিপোর্ট পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এরপরেই তিনি আইসোলেশনে চলে যান। গত ২৪ নভেম্বর তাঁর নমুনা জিনোমিক সিক্যোয়েন্সিংয়ের জন্য পাঠানো হয়। গত ২৫ তারিখ সেই রিপোর্টে দেখা যায় ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট দ্বারা আক্রান্ত ওই চিকিৎসক। বিদেশ ভ্রমণ না করা সত্ত্বেও তিনি ওমিক্রন-এ আক্রান্ত হওয়ায় বাড়ছে আতঙ্ক। এছাড়াও বিদেশ থেকে ভারতে ফেরার পর কোভিড পজিটিভ রিপোর্ট আসা ১০ জনের সন্ধান মিলছে না বলে দাবি প্রশাসনের।