কলকাতা ব্যুরো: মাসল পাওয়ার মানি পাওয়ার বরদাস্ত নয়। আইনশৃঙ্খলা নিয়ে বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে। দু দিনের বৈঠক শেষে এই বক্তব্যই জানিয়ে দিলেন জাতীয় নির্বাচন কমিশনার সুনীল আরোরা। রাজ্যে সিভিক আর গ্রিন পুলিশ নামে যে কোনো কর্মী আছে তা শুনে বিস্মিত জাতীয় নির্বাচন কমিশনার। তাদের কোনো ভাবে ভোটে ব্যাবহার করা যাবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
৩০ মে মেয়াদ শেষ হবে এরাজ্যের বিধানসভার। ছয় দফায় গত বিধানসভা ভোট হয়। লোকসভা ভোট হয়েছে সাত দফায়। কমিশনার বলেন, গুয়াহাটিতে যাবার পর এখানে এসেছি। সকাল থেকে বিভিন্ন বৈঠক ছিল। গভীরে সব আলোচোনা হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে এটা সবচেয়ে বড় বৈঠক। সবাই সবচেয়ে বেশি ভালোটা দিয়েছেন। মুখ্যসচিবের সঙ্গেও বৈঠক হয়েছে বলে জানান তিনি।
আগের নির্বাচনে সিইও ও তার আধিকারিকদের নিয়ে একাধিক অভিযোগ হয়েছে। ভোটের একবছরের মধ্যে এই অভিযোগ নিষ্পত্তি হবে। সব বুথ গ্রাউন্ড ফ্লোরে হবে। মুখ্যসচিব আশ্বাস দিয়েছেন কমিশনারকে।
সিভিক পুলিশ গ্রিন পুলিশ শব্দ এর আগে শুনিনি বলে প্রকাশ্যেই বিস্ময় প্রকাশ করেন তিনি। মুখ্যসচিব জানিয়েছেন, এরা কন্ট্রাকচ্যুয়াল। কমিশনার জানিয়ে দিয়েছেন, এদের ভোটে যদি কোন ব্যবহার হয় তাহলে বরদাস্ত হবেনা।
১৫০০ থেকে কমিয়ে ১০০০ জন একটি বুথে ভোটের এটা ঠিক হয়েছে। জেলা পর্যবেক্ষকদের নম্বর সবাইকে দেওয়া হবে। এরা যে ফিড ব্যাক দেবেন তারপর আমরা এলাকা পরিদর্শন করব। আগামীকাল কমিশনে বৈঠক করে এই ইস্যু গুলি দেখা হবে। স্যোশাল মিডিয়ার ব্যবহার, কালো টাকা ইত্যাদি নিয়ে অভিযোগ পেয়েছি বলেও জানিয়েছে কমিশন। আমরা গুরুত্ব দিয়ে বিষয় গুলি নিয়ে মুখ্যসচিবের সঙ্গে আলোচনা করেছি।
কমিশনের বৈঠকে রাজনৈতিক নেতারা বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা নিয়ে তারা আতঙ্কিত। তারা যেটা বলেছেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী দিতে হবে, ভোটার তালিকা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেছেন বিরোধীরা।
লোকসভা ভোটে আমরা এ রাজ্যকে ও ত্রিপুরা বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছি। এবার আমাদের অফিসারদের ভালো কাজ আশা করছি, জানান কমিশনার।
কয়েকমাস আগে কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়ার কোনো প্রশ্নই ওঠে না বলে মনে করেন তিনি। যখন মনে হবে দেব। আর অনেকেই দাবি জানিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা খারাপ বলে ১০০ শতাংশ বাহিনি দিতে। আমরা প্রয়োজনীয় বাহিনি দেব। Bsf বা অন্য কোনো সেনার হাতে নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া হবে না।
গত ছমাসের ঘটনাবলী পর্যবেক্ষণ করেছে কমিশন। কিছু নির্দেশ দেওয়া হবে। মডেল কোড চালু হবার পর কোন বাইক র্যালি নয়।
আমরা আইনশৃঙ্খলা নিয়ে নজর রাখছি।
বিএসএফ অত্যন্ত ভালো ফোর্স। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দুর্ভাগ্যজনক।