এক নজরে

নেতাজির মৃত্যু! আবার জলঘোলা

By admin

August 20, 2021

কলকাতা ব্যুরো: জন্মতারিখ নির্দিষ্ট। মৃত্যু আজও রহস্যময়। কিন্তু আজ প্রায় ১২৪ বছর পরও তিনি আপামর ভারতীয়ের কাছে জীবিত ৷ তিনি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। জাপানের ফরমোজা দ্বীপে বিমান দুর্ঘটনা কিংবা ভারতে কোনও সন্ন্যাসী বেশে তাঁর মৃত্যু! কোনওটাকেই সঠিক বলে মেনে নেয়নি দেশবাসী। এখনও পর্যন্ত সরকারিভাবে নেতাজির মৃত্যুদিনও ঘোষণা করা হয়নি।

প্রসঙ্গত ১৮ আগস্ট, বুধবার সকালে যুব কংগ্রেসের অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডেল থেকে একটি টুইটে লেখা হয়, ‘মহান স্বাধীনতা সংগ্রামী নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মৃত্যু বার্ষিকীতে আমরা শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।’ যেখানে নেতাজির মৃত্যুদিন নিয়েই এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে সেখানে দেশের সবচেয়ে পুরনো রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে কিভাবে এরকম মন্তব্য করা যায় তা নিয়ে তৈরি হয় বিতর্ক। তবে শুধুই কংগ্রেস নয়। সকাল সকাল প্রাক্তন কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রী নেতাজিকে শ্রদ্ধা জানিয়ে টুইট করেন। টুইটে তিনি লেখেন, “নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানাই। নেতাজির সংগ্রাম, ত্যাগ ও দেশের প্রতি নিষ্ঠা সমস্ত তরুণদের অনুপ্রেরণা। জয় হিন্দ!”

এ বিষয়ে নেতাজির নাতি সূর্য কুমার বোস জানান, এর কোনও প্রয়োজনীয়তা ছিল না ৷ যেখানে সরকারিভাবে মৃত্যুদিনই ঘোষণা করা হয়নি। এখনও জানা যায়নি উনি ওখানে মারা গিয়েছিলেন কিনা সেখানে এরকম টুইটের প্রয়োজন ছিল না। এছাড়া সূর্য বসু বলেন, আমি বারবার কেন্দ্রকে বলেছি জাপানের রেনকোজি মন্দিরে নেতাজির অস্থি সহ যে চিতাভষ্ম রাখা রয়েছে তার DNA পরীক্ষা করা হোক। তাহলেই বেরিয়ে আসবে আসল সত্য৷ এখন প্রযুক্তি অনেক এগিয়ে গিয়েছে৷ স্বাভাবিকভাবেই এ সত্য উদঘাটনে সময় লাগার কথা নয়। তবে বারবার আর্জি জানালেও লাভের লাভ কিছুই হয়নি।

তিনি আরও বলেন, শুধু আমিই নই, আমাদের বাড়ির অনেকেই কেন্দ্রকে এই DNA পরীক্ষা করানোর জন্য চিঠি দিয়েছেন। নেতাজির মেয়ে অনিতা সম্প্রতি নরেন্দ্র মোদীর সরকারকে এই বিষয়ে চিঠি দিয়েছেন। কিন্তু কোনও কারণে এখনও এ বিষয়ে আগ্রহ দেখাছে না মোদী সরকার। সূর্য বসু জানান, সুষমা স্বরাজ বিদেশমন্ত্রী থাকাকালীন, জাপানের কাছে চিঠি লিখে জানতে চেয়েছিলেন নেতাজি নিয়ে তাদের কাছে কী তথ্য রয়েছে। উত্তরে জাপান জানিয়েছিল নেতাজি নিয়ে তাদের কাছে ৫টি ফাইল রয়েছে৷ যার দু’টি তারা ভারতকে দিয়েওছিল, সেগুলিতে বিশেষ কিছু তথ্য ছিল না৷ কিন্তু আর বাকি ৩টি ফাইল কোথায়? সেগুলো দেওয়ার জন্য কেন চাপ দেওয়া হচ্ছে না জাপানকে?

নেতাজির পরিবারের দাবি মতো এই সমস্ত তথ্য পরিষ্কার হলে তবেই বোঝা যাবে নেতাজি ১৮ই আগস্ট ১৯৪৫ এ বিমান দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছিলেন নাকি আদৌও সেদিন উনি ওখানে ছিলেন না! তার আগেই যুব কংগ্রেসে এই টুইট নেতাজি মৃত্যু বিতর্ককে বাড়াচ্ছে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।