কলকাতা ব্যুরো: আরিয়ান খান মাদক মামলার দায়িত্বে থাকা সমীর ওয়াংখেড়ের ধর্মকে তুলে ধরা তাঁর উদ্দেশ্য নয়, বরং এনসিবি অফিসারের কাস্ট সার্টিফিকেট জাল করার কথাই সবার সামনে উন্মোচিত করা তাঁর লক্ষ্য। এমনই দাবি করলেন মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নবাব মালিক। নিজের যুক্তির স্বপক্ষে প্রমাণ দিতে সমীর ওয়াংখেড়ের নিকাহ নামার একটি ছবি টুইট করেছেন তিনি।
সাংবাদিক সম্মেলন করে নবাব মালিক বলেছেন, এটা স্পষ্ট করে দিতে চাই যে, সমীর ওয়াংখেড়ের যে বিষয়টি আমি প্রকাশ্যে আনতে চাই, তার সঙ্গে ধর্মের কোনও সম্পর্ক নেই। তিনি আইআরএস-এর চাকরি পেতে তাঁর জাতি শংসাপত্র দেখিয়ে যে ভাবে প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছেন, সেটাই আমি সবার সামনে আনতে চাই। একজন যোগ্য তফশিলি জাতির ভবিষ্যৎ নষ্ট করেছেন তিনি।
ডা. শাবানা কুরেশির সঙ্গে সমীর ওয়াংখেড়ের প্রথম বিয়ের নিকাহ নামার প্রতিলিপি ও ছবি প্রকাশ করেছেন নবাব মালিক ৷ নিকাহ নামার ছবিটি টুইট করে ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, “মিষ্টি জুটি সমীর দাউদ ওয়াংখেড়ে ও ডা. শাবানা কুরেশির ছবি ৷”
এনসিপি নেতার আরও অভিযোগ, “আমার টুইট করা জাতি শংসাপত্র যদি তাঁরা ভুল বলে দাবি করেন, তাহলে যেটা ঠিক সেটা তাঁদের দেখানো উচিত ৷ আমি সাক্ষীদের নামটাও ঝাপসা করে দিয়েছি, যাতে তাঁদের পরিচয়ে কোনও প্রভাব না-পড়ে ৷ আমি যে শংসাপত্র টুইট করেছি, সেটা বিএমসির সরকারি নথি ৷ আইনে বলা আছে যে, যদি কোনও ব্যক্তি অন্য ধর্মে ধর্মান্তরিত হন, তাহলে জাতিগত সুবিধে পাওয়া তাঁর বন্ধ হয়ে যাবে ৷”
সোমবার নবাব মালিক অভিযোগ করেছিলেন যে, এনসিবি কর্তা একজন মুসলিম ৷ তাঁর প্রকৃত নাম সমীর দাউদ ওয়াংখেড়ে। সিভিল সার্ভিসে অন্তর্ভুক্তির জন্য তিনি নাকি জাল জাতি শংসাপত্র ব্যবহার করেছেন ৷ তবে মঙ্গলবার সমীরের দ্বিতীয় স্ত্রী তথা মারাঠি অভিনেত্রী ক্রান্তি রেদকর এই অভিযোগ সম্পূর্ণ উড়িয়ে দেন ৷
এর আগে, এনসিবির জোনাল ডিরেক্টর সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে বলিউডের সেলিব্রিটিদের ফোনে আড়ি পাতার অভিযোগ এনেছিলেন মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী ৷ তাঁর মেয়ের ফোনের কল ডিটেইলসও ওয়াংখেড়ে চেয়ে পাঠিয়েছিলেন বলে অভিযোগ করেন তিনি ৷ যদিও সেই অভিযোগও উড়িয়ে দিয়েছেন এনসিবি কর্তা ৷