কলকাতা ব্যুরো: প্রায় আট মাস পরে পড়ুয়াদের জন্য খুলে দেওয়া হলো জাতীয় গ্রন্থাগার। তবে আগের মতো ইচ্ছে হলেই এখন আর এসে ঢুকে পড়া যাবে না আলিপুরে জাতীয় গ্রন্থাগারে। এর জন্য আগাম অনলাইনে বুকিং করতে হবে। আসন চব্বিশ ঘণ্টা আগেই যদি বুকিং করে পাওয়া যায়, তাহলেই পরের দিন সেই সদস্য আসতে পারবেন লাইব্রেরীতে।

চারিদিকে যখন করোনা আবহে স্যানিটাইজার ব্যবহার নিয়ে জোর দেওয়া হচ্ছে, তখন জাতীয় গ্রন্থাগার কিন্তু বই ব্যবহারের ক্ষেত্রে একেবারেই স্যানিটাইজার ব্যবহার করছে না। কারণ এতে বই এর ক্ষতিকর হতে পারে বলে মনে করছেন গ্রন্থাগারিকরা। ফলে তারা সব রকম সাবধানতা অবলম্বন করছেন অন্যভাবে, যাতে বই ভালো ভাবে রাখা যায়।

মার্চের শেষ সপ্তাহে আর সব কিছুর সঙ্গেই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল জাতীয় গ্রন্থাগার। পরবর্তী ক্ষেত্রে কিছু কর্মী নিয়ে ২০ এপ্রিল জাতীয় গ্রন্থাগার চালু হয়। সোমবার থেকে তা খুলে দেওয়া হলো জনগণের জন্য। যদিও সে ক্ষেত্রে বিধিনিষেধও বহাল থাকল।

সোম থেকে শুক্রবার বেলা দশটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত পড়ার জন্য জাতীয় ঢোকা যাবে। ১৪ বছরের কম বয়সী এবং ৬০ বছরের বেশি বয়সী ঢুকতে পারবেন না গ্রন্থাগারে।

জাতীয় লাইব্রেরী কর্তৃপক্ষ গ্রন্থাগারে আসতে চাওয়া সদস্যদের বারেবারে অনুরোধ করছেন, কেউ হঠাৎ করে পৌঁছে গিয়ে পড়ার জন্য জায়গা চাইবেন না, আগের দিন অনলাইনে বুক করে তবেই যান আলিপুরে জাতীয় গ্রন্থাগারে। একইসঙ্গে সকলের কাছে আবেদন কতৃপক্ষের কোনভাবেই ভঙ্গ করবেন না করোনা বিধি।