কলকাতা ব্যুরো: দেশজুড়ে চলছে কেন্দ্রীয় সরকারের ‘হর ঘর তেরঙ্গা’ ক্যাম্পেন ৷ স্বাধীনতার ৭৫ বছর উদযাপনে ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’-এর অঙ্গ হিসেবে প্রত্যেক নাগরিক তাঁর বাড়িতে তেরঙা উত্তোলন করবে ৷ ১৫ অগস্টের আগে ২০ কোটিরও বেশি বাড়িতে জাতীয় পতাকার দেখা মিলবে বলে মনে করা হচ্ছে ৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মঙ্গলবার তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রোফাইলের ছবিতে তিন রঙা পতাকার ছবি দিয়েছেন ৷ জনসাধারণকেও সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে এই ছবি শেয়ার করার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি ৷
প্রধানমন্ত্রী মোদি জানান এই প্রচারের লক্ষ্য, মানুষকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করা এবং ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবসে জনসাধারণের অংশগ্রহণ ৷ ২২ জুলাই তিনি এই ক্যাম্পেন নিয়ে একটি টুইটও করেন ৷ মানুষের হৃদয়ে দেশাত্মবোধ জাগানো এবং জাতীয় পতাকা নিয়ে সচেতনতামূলক এই প্রচারের দায়িত্বে রয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ৷
ভারত সরকার পতাকা উত্তোলন সংক্রান্ত ‘দ্য ফ্ল্যাগ কোড অফ ইন্ডিয়া, ২০২২’ প্রকাশ করেছে ৷ এখানে পতাকার ব্যবহার, সাজানো এবং উত্তোলন সংক্রান্ত যাবতীয় নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে।এই পতাকা উত্তোলন আসলে দেশ গড়ায় প্রত্যেক নাগরিকের অবদানের একটা প্রতীক।
২০০২ সালের ২৬ জানুয়ারি ‘ইন্ডিয়ান ফ্ল্যাগ কোড’ কার্যকর হয়। এই নির্দেশিকা মেনে বেসরকারি সংস্থা, সাধারণ মানুষ এবং সরকারি সংস্থাগুলি পতাকা উত্তোলন করতে হবে। কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রক একটি এই উদযাপনে একটি ওয়েবসাইটও চালু করেছে এবং ‘হর ঘর তেরঙ্গা’ অভিযানকে আরও ছড়িয়ে দিয়েছে। যে কোনও ভারতীয় তেরঙা পতাকার সঙ্গে নিজের ছবি (সেলফি) তুলে এই ওয়েবসাইটে পোস্ট করতেই পারেন ৷
এখনও পর্যন্ত ২৮টি রাজ্য এবং ৮টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে অমৃত মহোৎসবের অংশ হিসেবে ৫০ হাজারেরও বেশি অনুষ্ঠান সফলভাবে আয়োজন করা হয়েছে।
কর্পোরেট মন্ত্রক কোম্পানিগুলিকে ‘কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটি’ তহবিলের টাকা দিচ্ছে ‘হর ঘর তিরঙ্গা অভিযান’ পালন করতে। একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছে, কোম্পানিস অ্যাক্টের শিডিউল VII-এর অধীনে সিএসআর তহবিলের টাকায় প্রচুর সংখ্যক পতাকা তৈরি, চতুর্দিকে তা ছড়িয়ে দেওয়া এবং এ সংক্রান্ত অন্য সব খরচ দেবে সরকার ৷
কোম্পানিগুলি সিএসআর পলিসি রুলস, ২০১৪ অনুযায়ী এই কাজকর্ম করতে পারে, জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে ৷ কেন্দ্রীয় সরকার ২০ কোটি বাড়িতে এই পতাকা উত্তোলনের লক্ষ্যমাত্রা রেখেছেন এবং এর ন্যূনতম মূল্য ১০ টাকা ৷ তাই এই মেগা উদযাপনে ২০০ কোটি টাকা খরচ হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।