%%sitename%%

এক নজরে

Modi at UNGA: নাম না করে সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে পাকিস্তানকে কড়া বার্তা

By admin

September 26, 2021

কলকাতা ব্যুরো: রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ অধিবেশনের মঞ্চ থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সন্ত্রাসবাদে পাকিস্তানের ভূমিকা নিয়ে সরব হলেন। তবে তিনি একবারও ভারতের পড়শি দেশের নাম মুখে নেন নি৷ কিন্তু তাঁর হুঁশিয়ারিতেই স্পষ্ট, তিনি কোন দেশের উদ্দেশ্যে কথাগুলি বলেছেন?

শনিবার রাষ্ট্রসঙ্ঘের ৭৬ তম সাধারণ অধিবেশনে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী৷ তিনি বলেন, যে দেশ সন্ত্রাসবাদকে রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে ৷ সন্ত্রাসবাদ তাদের জন্য ভয়ঙ্কর হবে ৷ পাশাপাশি আফগানিস্তান নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন নমো বলেন, আফগানিস্তানকে সন্ত্রাসবাদে ব্যবহার যাতে না করা হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে৷ কোনও দেশ যাতে আফগানিস্তানের এই পরিস্থিতির সুযোগ না নেয়, সেই দিকেও কড়া নজর রাখতে হবে ৷

একই সঙ্গে তালিবানের দখলে যাওয়া আফগানিস্তানের পরিস্থিতি নিয়েও উদ্বেগপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী ৷ তাঁর কথায়, এখন আফগানিস্তানের মহিলা, শিশু, সংখ্যালঘুদের সাহায্য প্রয়োজন ৷ সেটা আমাদের নিশ্চিত করতে হবে৷ প্রসঙ্গত, সম্প্রতি আফগানিস্তান তালিবানের দখলে চলে গিয়েছে ৷ সেই কাজে তালিবানকে পাকিস্তান মদত দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠছে ৷ এমনকী, তালিবানের দখলে না যাওয়া পঞ্জশির দখলেও তালিব-বাহিনীকে পাকিস্তান সাহায্য করছে বলেও অভিযোগ ৷

তবে কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, পাকিস্তানের মদতে আফগানিস্তানে আবার জঙ্গি প্রশিক্ষণের রমরমা শুরু হতে পারে ৷ তাতে ভারতের বিপদ বেশি ৷ কারণ, পাকিস্তান সারা বছরই সীমান্তের ওপার থেকে সন্ত্রাসবাদীদের মদত দেয় ভারতের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ৷ আর সেই সব বিষয়গুলি মাথায় রেখেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রাষ্ট্রসঙ্ঘের মঞ্চ থেকে নাম না করে পাকিস্তানকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন ৷

তবে প্রধানমন্ত্রী এদিন তাঁর বক্তব্য শেষ করেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি গানের লাইন দিয়ে। কবিগুরুকে উদ্ধৃত করে তিনি বললেন, ‘শুভ কর্মপথে ধর নির্ভয় গান। সব দুর্বল সংশয় হোক অবসান।’ এরপরই তিনি উপস্থিত সমস্ত দেশের প্রতিনিধিদের জন্য এই লাইনদুটিকে ব্যাখ্যাও করলেন। মোদী বলেন, আমাদের কর্মপথে যদি আমরা নির্ভীক হয়ে লড়াই করতে পারি, তাহলে সমস্ত দুর্বলতা আর সংশয় দূর হবে। গুরুদেবের এই লাইনগুলি বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে খুবই প্রাসঙ্গিক।

মোদী বলেন, বর্তমান সময় দাঁড়িয়ে সমস্ত দেশের উচিত ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিশ্ব শান্তি ও সৌহার্দ্যের পরিবেশ বজায় রাখা। আর সে ক্ষেত্রে গুরুদেবের এই বার্তা অত্যন্ত যথোপযুক্ত।