কলকাতা ব্যুরো: হরিদেবপুরের বন্ধ ঘরে রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হল কৌশিক দে (৫০) নামে হাইকোর্টের এক আইনজীবীর। ওই আইনজীবী বাড়িতে একাই থাকতেন। কিভাবে এই মৃত্যু, তা জানতে মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে হরিদেবপুর থানার পুলিস। শুক্রবার এই মৃত্যু সংবাদ আসতেই হাইকোর্টের আইনজীবীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে।
কয়েকজন আইনজীবী হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদনে জানান, কৌশিক বাড়িতে একাই থাকতে না। তার পরিবারের আর কোন সদস্য নেই। সেই কারণে ময়না তদন্তের পর মৃতদেহ হস্তান্তর করতে পারছে না পুলিস। তাই মৃতদেহ কৌশিকের আইনজীবী বন্ধুদের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য।
হরিদেবপুর থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত আইনজীবী থাকতেন কালীতলা এলাকায়। কয়েক বছর আগে মারা যান কৌশিকের বাবা। শেষ বারের মতো কৌশিককে দেখা গিয়েছিল ৫ দিন আগে। সেই সময় তিনি পাড়ার ফুটবল মাঠে খেলা দেখতে গিয়েছিলেন। এরপর থেকে ওই আইনজীবীকে আর কেউ দেখতে পাননি।
আইনজীবীরা জানান, তিনি খেলা দেখতে ভীষণ পছন্দ করতেন। অবিবাহিত কৌশিক বাবু শারীরিক দিক থেকে কিছুটা অসুস্থ থাকলেও নিয়মিত হাইকোর্টে গিয়ে প্রাকটিস করতেন। তবে গত ১০ দিন আগে থেকে ওই আইনজীবীকে হাইকোর্ট পাড়ায় দেখা যায়নি। তখনই সন্দেহ হয় তাঁর অন্যান্য আইনজীবী বন্ধুদের।
সেই মতো তাঁর আইনজীবী বন্ধুরা বৃহস্পতিবার রাতে কৌশিকের হরিদেবপুরের বাড়িতে খোঁজখবর নিতে যান। সেখানে গিয়ে দেখেন, ঘরের দরজা বন্ধ। ভেতর থেকে পচা গন্ধ বেরোচ্ছে। খবর দেওয়া হয় পুলিসে। এরপর দরজা ভেঙে ওই আইনজীবীর পচা গলা মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। মৃতদেহ দেখে পুলিসের অনুমান ৪-৫ দিন আগেই মৃত্যু হয়েছে ওই আইনজীবীর।