কলকাতা ব্যুরো: এক কোথায় বলতে গেলে সত্যিই তীরে এসে তরী ডুবে গেল কলকাতা নাইট রাইডার্সের। খেলার শুরু থেকে দুর্দান্ত ছন্দে থাকলেও, কোথাও যেন ৫বার আইপিএল চ্যাম্পিয়নের কাছে হার মানতেই হল কেকেআর-কে। মুম্বাইয়ের ১৫২ রানের ছোট লক্ষ তাড়া করতে গিয়ে, ১৬ ওভারে ১২২ রানে করে ফেলে নাইটরা। ফরমার ছিল ৩০ বলে ৩১ রান হাতে তখনও ৭ উইকেট। ঠিক তার পরেই যেন ছন্দ পতন ঘটল নাইট শিবিরে। একে একে প্যাভিলিয়নের ভিরে গেলেন রাণা ও সাকিব। রাণা তাঁর নিজের ভূমিকা পালন করে ৪৭ বলে ৫৭ রান করে দলকে ততক্ষনে একটা স্বস্তির স্থানে পৌঁছে দিয়েছে। কিন্ত সাকিবের ভুল শট সিলেকশনকে মটেই মেনে নিচ্ছে না নাইট শিবির। ১২২ রানেই তিনিও ফিরে যেন প্যাভিলিয়নে। ফলে মাঠে তখন দুজন নতুন ব্যটস্ম্যান – কার্তিক ও রাসেল।

রাসেলকে সকলে বিধ্বংসী ফিনিশার হিসাবে জানলেও, শেষ মরশুম থেকে তাঁর ব্যাটের মাঝখানে যেন বল লাগছেই না। ২০২০ গোটা টুর্নামেন্টে অফ ফর্মের রেশ এখনো কাটেনি। প্রথম খেলাতে কলকাতা জিতলেও ফ্লপ ছিলেন রাসেল। সেই প্রভাব এখন ও চলতে লাগল। একাধিক বল নষ্ট করে এমন জায়গায় খেলাটাকে নিয়ে গেল তখন বাঁকি ৪ বলে ১৩ রান। নাইট সমর্থকরা তখনও রাসেলের প্রতি আশা রেখেছিলেন। কিন্তু সমস্ত আশায় জল ঢেলে আউট হয়ে গেলেন রাসেল।

মঙ্গলবার চেন্নাইয়ে টসে জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন নাইট অধিনায়ক মর্গান। স্পিনারদের অসাধারণ বোলিং আর শেষ পাতে রাসেলে ধুরন্ধর ৫টি উইকেট চ্যাম্পিয়নদের বেঁধে ফেলেছিল মাত্র ১৫২ রানে। মুম্বই শিবিরে সূর্যকুমারের ৩৬ বলে ৫৬ রান আর রোহিতের ৩২ বলে ৪৩ রান ছাড়া আরে কেউই তেমন দাঁড়াতে পারেননি নাইট বোলিং-এর সামনে। স্বভাবতই এতো কম লক্ষ পেয়ে বেশ খুশিই ছিল নাইট শিবির।

১৫২ রান তাড়া করতে নেমে রাণা ও গিল দলকে একটা সুন্দর কিক দেন। ফলে নাইট সমর্থকরা এটাকে ইজি উইন বলে ঘরেই নিয়েছিল। কিন্তু কে জানত যে তারপর এইভাবে বিপর্যয় নেমে আসবে নাইট শিবিরে আর জেতা ম্যাচটা ১০ রানে হেরে যাবে কেকেআর। মুম্বইয়ের তরফের বল নিয়ে ফিরকি দেখিয়েছেন রাহুল চাহার। তার গুরুত্বপূর্ণ চারটে উইকেটই মুম্বইকে দলে ফিরে আসতে সাহায্য করে। এবং তারপর ডেথ অভারে বুমরাহ ও বোল্টের ধুরন্ধর বোলিং মুম্বই ইন্ডিয়ানস-কে এই মরশুমে প্রথম জয়ের মুখ দেখাল। এর আগের ম্যাচ তাঁরা হেরেছেন কোহলির আরসিবি-এর কাছে। ম্যাচের সেরা রাহুল চাহার।

পরের খেলাঃ সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ বনাম রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর, সন্ধ্যে ৭.৩০ মিনিটের চেন্নাই থেকে।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version